মেয়েটি এখন পরিনত মহিলা। তবে শুধু দৈহিক দিক দিয়েই, মননে এখনো উচ্ছ্বল নদী।
মেয়েটি এখন মা। খুব যত্নশীল।
তবুও কোথাও একটা না-পাওয়া থেকে গেছে। এতো বছর সংসার করার পরেও প্রেম-ভালোবাসার চাহিদা টা তীব্র, বুক-ফাটা।
ভোরের আলোর সাথে সাথে বিছানা ছাড়া মেয়েটিরও ইচ্ছে করে এক-আধ দিন একটু দীর্ঘক্ষন বিছানাটা ছুঁয়ে থাকতে। ইচ্ছে করে উপন্যাসের নায়িকার মতো সূর্যের ম্লান আলোর ছটায় স্নান করতে।
বহুদিন আয়নায় নিজেকে দেখা হয় না তার। ইচ্ছে করে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে প্রেমিকের চোখে নিজেকে নিজেই দেখতে। কপালের যে লাল টিপ, সেটা কখনো কখনো তুলে ফেলে দিয়ে ইচ্ছে করে কপাল খালি রাখতে। মাথার লাল যে লক্ষ্মণ রেখা টা আছে, দগদগে ক্ষতের মতো, ইচ্ছে করে কোনো-কোনো দিন সেটা সম্পূর্ণ ফাঁকা রাখতে।
একটা দুটো ফুলে চুল সাজাতে ইচ্ছে করে অবেলায়। ইচ্ছে করে সারা সন্ধ্যে জুড়ে খোলা চুলে একাকী আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে, ঘন্টার পর ঘন্টা।
সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর যখন রাত্রের শুরুতেই চোখ জুড়ে নামে ঘুমের বন্যা, ইচ্ছে করে তখন একটু প্রেমের খোঁজে থাকতে।
কখনো কখনো ইচ্ছে করে পায়ের বেড়ি ভেঙে তছনছ করে অন্য একটা দেশের সন্ধানে বেরিয়ে পড়তে। ইচ্ছে করে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে আসা ঝর্ণার ধারায় নিজেকে স্নাত করতে।
বহুদিন যে প্রেমিকের চোখে তৃষ্ণা অধীর, তার বক্ষ মাঝে একান্ত এক নদী গড়তে।
নদীর মতো স্রোতের ঢেউয়ে বইতে চাওয়ার স্বপ্ন থাকে প্রতিটি নারী হৃদয়ের বক্ষে।