সরস্বতী মহাভাগে
যদিও সরস্বতী পুজো কেটে গেছে বেশ কয়েকদিন হল, তবুও তার রেশ কি আর এত সহজে মিটে যাওয়ার? তাই ভাবলাম সেই রেশ থাকতে থাকতেই নাহয় আর একবার একটু নস্ট্যালজিক হয়ে পড়া যাক, আর ক্যালেন্ডারের পাতায় পিছিয়ে যাওয়া যাক বেশ কয়েকটা বছর……
ভাঙাগড়ার খেলা
কাট ওয়ান: – তুই জানিস তো তোকে আমি ঠিক কতটা ভালোবাসি? – তাই বুঝি? – কেন তুই বুঝিস না সেটা? – কি করে আর বুঝবো বল, কখনও তো আর এর আগে নিজে মুখে আমাকে বলিসনি সেকথা। – জানিস, সামনাসামনি তোকে…
বড়দিন
বছরের এই সময়টা খুব স্পেশাল. পুরোনো বছরের শেষ আর নতুন বছরের শুরুর মধ্যেকার এই যে একটা সপ্তাহ, ঠিক যেন যা কিছু খারাপ, যা কিছু দুঃখ, হতাশা, ব্যর্থতাকে ঝেড়ে ফেলে এক নতুন আশার আলো, উদ্দীপনা, উৎসাহ নিয়ে সাফল্যকে স্বাগত জানানোর সন্ধিক্ষণ।…
যীশুর জন্মদিনে
আমি মফস্বলের মেয়ে, তাই আমার ছোটবেলায় খ্রীস্টমাসের সময়ে কেকের প্রচলন এখনকার মতো ছিলোনা, তবে সময়ের সাথে সাথে সেটা বেড়েছে আর আমাদের আজকালকার জীবনের অঙ্গ হয়ে গেছে বলা যায়। আমার বাড়ির কাছেই খ্রীস্টমাসের সময়ে সাতদিন ধরে খুব বড়ো করে মেলা হয়।…
মঙ্গল-অমঙ্গল
-” ও বাবু দুডা টাকা দ্যান না, ছিলাডা ক’দিন কিচ্ছু খায়নিকো।” মন্দিরের ঢোকার মুখেই একটা শতছিন্ন শাড়ি পরা রোগাসোগা চেহারার মেয়ে কোলে একটা চার-পাঁচ বছরের বাচ্চাকে নিয়ে তরুণ বাবুর পথ আটকে দাঁড়ালো। মেয়েটির চেহারায় দারিদ্রের ছাপ স্পষ্ট। কোলের ছেলেটিও অপুষ্টির…
দুই পৃথিবী
দৃশ্যপট: এক শপিং মল থেকে বেরিয়ে সবে রোদ চশমা টা চোখে গলিয়েছে শ্রী; হঠাৎ পেছনে কুর্তিতে এক টান। ঘুরে দেখে কালো মতো লিকপিকে একটি ছেলে। বয়স সত্যিই বারো কি তেরো, গায়ে শতছিন্ন একটা জামা আর হাতে একটা তবড়ানো বাটি- “দিদি…
জান্তব
– “না না আমি কিছুতেই স্কুল যাবনা, প্লিজ মা…” শেষ দুই সপ্তাহ ধরে বুবুনের এই বায়নাক্কা একপ্রকার নিত্যদিনের রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে শিবাণীর জীবনে। “ওখানে স্যার খুব দুষ্টু, আমাকে…” কথা অসম্পূর্ণ রেখেই একপ্রকার কঁকিয়ে উঠল সাত বছরের বুবুন। রোজ স্কুল যাওয়ার…
যখন ছোট ছিলাম
আমার ছোটবেলায় দীপাবলি আর কালীপুজোর একটা অন্যরকম রেশ ছিল। আজ থেকে আঠেরো কুড়ি বছর আগে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ এখনের মতো জাঁকজমকপূর্ণ না হয়ে উঠলেও উৎসবের মেজাজে কখনও কোনো কমতি মনে হয়নি। আমার তখন বছর সাত আটেক। কালীপুজোয় মামাবাড়ি…