LaughaLaughi

You Create, We Nurture

Food and Health

‘ফল’, কি আদৌ সুরক্ষিত!

‘ফল’, কি আদৌ সুরক্ষিত!

হয়তো এরকম ভাবেই ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছি আমরা! বর্তমানে মনুষ্যত্বের সাথে সাথে আমরা শারীরিকভাবেও দুর্বলতার কবলে পড়ছি‌।
কখনো ভাগাড় কাণ্ড, আবার এখন ‘নিপাহ্ ভাইরাস’। ভারতবর্ষের মনুষ্যজাতি প্রচণ্ড বিপদসীমার উপর দিয়ে নিজেদের চালিত করছে।

ভাগাড় কাণ্ডের পর বোঝাই গেছে যে, এখন কোনো বাইরের জায়গার খাবারও সুরক্ষিত নয়। মাংস, সেটা চিকেন বা মাটন হোক সেটার উপর ঘৃণা ধরে গেলে মানুষ তাহলে খাবে টা কি?
সেরকমভাবেই, আজকাল আবার ফল ও সুরক্ষিত নয়! বলতে পারেন এরপর আপনার কী করার থাকতে পারে?
যখন বাজারে যাবেন বা বাড়িতে আবদার করবে ফল আনার জন্য, তখনও মনে হবে, ফলটা কি আদৌ খাবার যোগ্য! কোনো ক্ষতি হবেনা তো!?

‘নিপাহ’ ভাইরাস! এই আতঙ্কে পুরো দেশ ধুঁকছে।
নিপাহ ভাইরাস প্যারামিক্সো পরিবারের সদস্য। রাসায়নিক গঠনের দিক থেকে এটি এক ধরনের ‘আর এন এ’ ভাইরাস।

WHO-এর গবেষণার পর জানা যায়, ১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ার কামপুং সুনগাই নিপা-তে এই ভাইরাস পাওয়া যায়। অসুস্থ শূকর ও বাদুড়ের দ্বারা এই রোগ ছড়ায়। এই ভাইরাস সমানভাবে পশু ও মানুষের কাছে ক্ষতিকর, এর প্রভাবে ৭০% মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে।
বর্তমানে কেরল এই ভাইরাসে আক্রান্ত এবং এর ফলে প্রায় ২০ জনের মৃত্যুও হয়েছে।

রোগীর লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, বমি, ভুলভাল বকা ও ক্রমশ জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়তে দেখা যায়। এরকম ধরনের অসুবিধা হলে দ্রুত চিকিৎসা করান ও রক্ত পরীক্ষা করান।
নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা আসলে নেই। প্রাথমিক পর্যায়ে রিভাবিরিন জাতীয় অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। লক্ষণের জন্য লক্ষণ অনুযায়ী সাপোর্টিভ চিকিৎসা দেওয়া হয়।

যেহেতু, সেরকম কোনো চিকিৎসা নেই তাও কিছু সাবধানতার জন্য নিম্নলিখিত পরামর্শগুলো মেনে চলা উচিত‌। যেমন—

১. নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ওই এলাকার মানুষকে আপাতত খেজুর গুড় ও রস, আখের রস, পেঁপে, পেয়ারা সহ স্থানীয় ফল বা অর্ধেক খাওয়া ফল না খাওয়া। ফলমুল খেলেও ভালভাবে ধুয়ে খেতে হবে।

২. আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসলে সাবান ও জল দিয়ে ভালোভাবে হাত-পা ধুয়ে নেওয়া ভালো।

৩.বাদুড় থেকে প্রাদুর্ভাবের ক্ষেত্রে পাখির আংশিক ফল খাওয়া ও খেজুরের বা তালের কাঁচা রস পান না করার জন্য ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে।

সুতরাং, নিজেকে ভালোবাসুন, সাবধানতা অবলম্বন করুন ও সুস্থ থাকুন। খাবার ও ফলের ব‍্যাপারে একটু চিন্তাভাবনা ও সাবধানতা অবলম্বন করবেন এবং বিশস্ত কোনো দোকান বা মানুষের কাছে থেকে খাদ্য সংগ্ৰহ করুন।

Facebook Comments Box

LEAVE A RESPONSE

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Editorial Team of LaughaLaughi