পুজো প্রায় চলেই এলো। আর তো মাত্র কটা দিন। কোলকাতার  হুজুগে বাঙালীও মেতে উঠেছে এইসময় পুজোর কেনাকাটা সারতে। আর মধ্যবিত্ত হোক বা উচ্চবিত্ত, মার্কেটিং বলতেই প্রথমেই মাথায় আসে ধর্মতলার নাম। ফুটের দোকান হোক বা নিউ মার্কেট, ভিড় লেগেই থাকে। কিন্তু মার্কেটিং মানে শুধুই তো কেনাকাটা নয়। সাথে একটু আড্ডা, গল্প, একটু খাওয়া-দাওয়া- সবমিলিয়েই একটি সফল মার্কেটিং হয়। ধর্মতলার মধ্যেই কিন্তু এমনই একটি ক্যাফে আছে, যেখানে নিরিবিলিতে খানিক আড্ডা দেওয়া যায়। এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের ২ নম্বর গেট দিয়ে বেরিয়ে ট্রাম ডিপোর দিকে একটু এগোলেই চোখে পড়বে ‘স্মরণিকা: ট্রাম ক্যাফে’।

২০১৪ সালে তৈরি হওয়া এই ক্যাফে কিন্তু এখনো অনেকের কাছেই অজানা। একটি আস্ত ট্রামের ভিতরেই গড়ে উঠেছে এই ক্যাফেটি। যার একটি কামরা ক্যাফে, অপরটি ট্রাম মিউজিয়াম এবং ভেতরের পুরো অংশটাই এসি। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী কালে ঘোড়ায় টানা ট্রাম থেকে শুরু করে বর্তমানে বিদ্যুৎচালিত ট্রাম- সেখানে হদিশ মিলবে সবকিছুরই। যারা পুরোনো কোলকাতার ট্রান্সপোর্ট (বিশেষত ট্রাম) সম্বন্ধে জানতে আগ্রহী, তারা মাত্র ১০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে ঢুকে পড়তেই পারেন একবার। সেসব দেখে ক্যাফের চেয়ার টেবিলে বসে খানিক জিরিয়ে নেওয়া যায়। সাথে মুখ চালানোর মতো থাকুক স্ন্যাক্স, কফি কিংবা কোল্ডড্রিঙ্ক। তবে সেখানে ভারী কিছু খাবার পাওয়া যায় না। যদিও সেসব অর্ডার না দিলেও কেউ আপনাকে তুলে দিতে আসবে না। সবথেকে বেশি আপনাদের যেটি ভালো লাগবে, তা হলো সেখানে স্টাফদের ভদ্র এবং মার্জিত ব্যবহার। তবে সেখানে বসার জন্য সময় বড্ড সীমিত। মাত্র ৪৫ মিনিট।

আসলে ক্যাফেটা এতটাই স্বল্প পরিসরে যে, কফি হাউজের মতো ঘন্টার পর ঘন্টা সেখানে কাটানো যায় না। তবে যারা একটু শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করেন দুপুর ১টা থেকে রাত ৮ টার মধ্যে একটিবার ঘুরেই আসতে পারেন ‘স্মরণিকা ট্রাম ক্যাফে’তে। তবে বৃহস্পতিবার ভুলেও যাবেন না। সপ্তাহের ওই একটি দিনই এই ক্যাফে বন্ধ থাকে। ঘুরে এসে জানাবেন না হয়। কথা দিচ্ছি, স্মরণিকা সারাজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

Facebook Comments Box

By Staff Writer

Editorial Team of LaughaLaughi

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *