bengali poetry

বিকেলের সূর্য

তখন শেষ বিকেলের সূর্য গোধূলি রাঙানো আলো পাখিদের নীড়ে আসা দিনের শেষ ভালোবাসা। কখনো রামধনূ ছুঁয়ে যায় দিনান্ত ঢাকে আকাশের সীমান্ত এ ছবি রোজ নিত্য নিত্য। চারদিকে রাতের আবাহন ঘরমুখি…

দ্বিপ্রহর

আগের কোন জন্মের ঘুম ঘুলঘুলির পাতলা রোদে ভাঙার নয়, তাই দ্বিপ্রহরের হিমশীতল পাখিরা হয়তো আতরের গন্ধমাখা ডানা ঝেড়ে বারবার গলা সেধে ফিরে গেছে; সেদিন শেষমেশ আমি জাগতে চাইনি অকালের বেকার…

কথোপকথন মুহূর্তের নয়

একটা সুস্থ জীবনের প্রতীক – চুপি চুপি আসে আর অধরা স্বপ্নের দোহাই দিয়ে অসংকোচে একবার করে ছুঁয়েই চলে যায়; দলা পাকানো ভাতে জীবন শুধু অস্তিত্বের সাথে মেলামেশায় বিশ্বাসী, কাছাকাছি বাস্তবের…

কথোপকথন মুহূর্তের নয়

সেই ভোর থেকে রাত কেটে যায় একরকম, কিছু উষ্ণতার মাত্র এক শব্দের রোমন্থন সজীবতার সামান্যটুকু উপমায়, খোলসের মতো ছড়ানো-ছিটোনো ঝরা পাতার বিছানায় কতগুলো হাড় জিরজিরে শরীর, স্পন্দনের শেষ আশ্বাসে গড়িয়ে…

কথোপকথন মুহূর্তের নয়

অদুরের আগমন নিবিড় চলনপথে আপন গতিতে, পরিস্থিতির পরোয়া অস্তিত্বহীন – ক্রমে আগামীর প্রসার কল্পনায় আলীন সোনার পাথরবাটিতে, মলিন হিমরেখায়… গনগনে দিনের আঁচ ভুলে একটুকরো প্রশান্তি প্রায়শই নেমে আসে শেষরাতে, শিথিল…

সব বুঝি অচেনা

নীরব নীলের দিঠি সবেমাত্র শেষরাতে চেয়েছিল ঘুম, দেহে একবিন্দু আশ্রয় কেড়েছে যার জীবনকালের কুমকুম, সময় তো টেকেনি; সে নিছক সান্তনায় জিয়োনো ভিনদেশ, মিথ্যে মেয়াদের অসমাপ্ত গুজবে দুদিনের তুমি আর নিশ্চিত…

আমাকে ফেরত দাও

কেউ দাঁড়িয়ে নেই সবাই ছুটছে, হাপরের মতো নিঃশ্বাস পড়ছে তাদের, ডাকলেও সাড়া মেলে না অবসর বড়োজোর ঘন্টায় এক কি দেড় – নিজের কথাই তারা মন দিয়ে শোনেনি পরের ব্যাপার শুনবে…

একাকী বৃষ্টি

ঝমঝম বারিবিন্দু, না জানিয়েই আজকাল হঠাৎ হঠাৎ নিঃশব্দে নেমে আসে এ জীবনের অকালসন্ধ্যায়, অথচ তার শেষ ঘুমটুকু আজও শুধু আমার জন্যই; প্রতি পলকের আবেশে বর্ষা বলে ডেকেছিলাম যাকে, সদ্যস্নাত আমপাতায়…