তানিয়া : এক সন্ধ্যে`র ছদ্মনাম

একা চলার পথটা নেহাত কঠিন হয়ে পড়েছিল বলেই মূর্ছিত কিছু মুখ ক্লাসিেক`র ধোয়ায় ছায়া-মেঘের কোলাহল শুনছিল। আমার মন ঠিক কি শুনছিল জানি না তবে অকস্মাৎ এই ভেঙে পরার তাগিদেই হয়তো একটা মরচে ধরা জানলার সীস যদিও আওয়াজ মনটা কে আরও আটকে দিচ্ছিল। নিজের সাথে নিজের যুদ্ধ করার অভ্যাস বরাবরের তবে এমন কান্না মনচিত্তে এই প্রথমবার। আসলে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র হওয়ার দরুন প্রশ্নচিহ্ন গুলো এত বেশি ডানা বেধেছে অবাক হওয়া আর হয়ে ওঠার না। এমনভাবে অবাক হওয়া কিছু চিঠি পোড়ানো বললে ভুল হবে ছাইগুলো আ্যটেনডেন্স এর খাতায় আজও হাকাহাকি করে।

এক বছর।

নিজেকে বদলায়নি খুব সহজ কারণে। কুমোরটুলি আমার জন্মস্থান নয়। ছবি তোলা নেশা হলেও তার পেছনে এক ঔদ্ধত্য ভেঙে গড়ার নেশা আকৃষ্ট করেনি আমাকে কোন দিনই। বাস্তব জীবনে ইচ্ছা ঘুড়ির লাটাই`টা কখনত্ত আমাদের হাতে থাকে আবার কখনত্ত অন্য কারোর হাতে। সেটাই সত্যি। বাস্তবের ধোয়ায় বোবা টানেল আজও আমাদের অন্য কোথাও যাওয়ার জন্যে টানলেও সব শেষ আসলে শেষ হয় না। তবে কখন সেই ইচ্ছা ঘুড়ির লাটাই কেই ভালোবাসলে জানিনা। তানিয়া। ফাঁকা গুমরে ঘরে মরে আগাগোড়া শূন্যস্থান পূরণ। “কত বাসা ভেঙে যায়/কত বন্ধু রঙ হারায়/বলো কী সাহসে একলা জেগে থাকি?”

Facebook Comments Box

By Staff Writer

Editorial Team of LaughaLaughi

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *