আমাদের প্রত্যেকের জীবনে কম-বেশি সবারই কাছের মানুষ থাকে। অদ্ভুতভাবে দেখা যায়, যে মানুষগুলো আমাদের প্রচন্ডভাবে ভেঙেচুরে দেয় বেশিরভাগ সময়ই তারা আমাদের কাছের মানুষ হয়ে থাকে, তাই তারা অতি সহজেই আমাদের একটা সামান্য ধাক্কাতেও অনেকটা আঘাত দিতে পারে। অনেক সময় দমবন্ধ করা এক কষ্ট ও কান্নার মধ্যে দিয়ে রাতগুলো পেরিয়ে যায় সেই কাছের মানুষটার কথা ভাবতে ভাবতে, কিন্তু সেই মানুষটা হয়ত ব্যস্ততা নামক এক মায়াজালে আবদ্ধ হয়ে একটু পাশে থাকতেও ভুলে যায়। আবার এই মানুষটা যখন সমস্ত ব্যস্ততা শেষে আমাদের খোঁজ নিতে আসে, তখন প্রথমদিকে আমরা সবটা মানিয়ে নিলেও পরের দিকে শুধুমাত্র এই মানুষটার উদ্দেশ্যে কিছু কথা খুব বলতে ইচ্ছে করে; যেমন‐ ‘যে সময় আমার তোমাকে খুব প্রয়োজন ছিল সেই সময় তুমি একটু আমার পাশে থাকতে পারোনি, আর আজ যখন আমার নিজেকে আগলে নেওয়ার ক্ষমতা হয়ে গেছে তখন তুমি নাইবা এলে প্রতিদিনের খোঁজ রাখতে।’ আসলে অভিমান করতে করতে এক সময় আমাদের মন বুঝে যায় এবার নিজেকে নিয়ে ভাবতে হবে; কারণ হাজার পাশে থাকার মতো মানুষ তথা কাছের মানুষ আমাদের সাথে থাকলেও, একটা সময় পর নিজের ভালো থাকাটা নিজের উপরই নির্ভর করে।

চিত্র: সংগৃহীত

 

হ্যাঁ, ঠিক এমনভাবেই শত শত মানুষ মান-অভিমানের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় এবং ভালোবাসার ঘর বাঁধে, আবার হয়তো বহু মানুষ এই শত শত মান‐অভিমানের বশে একে অপরের থেকে অনেক দূরে সরে যায়। তাই কাছের মানুষ শব্দটাও আজকাল বড্ড আপেক্ষিক, হয়তো সেইজন্যই বলা হয় দুটো মানুষ নিজেদের থেকে অনেকটা দূরে থেকেও মনের দিক থেকে অনেক কাছাকাছি থাকতে পারে আবার হয়তো পাশাপাশি থেকেও দুটো মানুষের মধ্যে হাজার হাজার মাইল দূরত্ব থেকে যায় কিংবা দূরত্ব তৈরি হয়।

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *