- কেমন আছেন স্যার? কাজ কেমন চলছে?
পার্থিব – আমি খুব ভাল আছি, আশাকরি তুমিও ভালো আছো , কাজ ভালোই চলছে, কিছুদিন আগে রানী রাসমনি শেষ হল! এখন একটু নিজেকে টাইম দিচ্ছি আর সাথে ব্যাবসাকে! - কবে মনে হল নাচের সাথে সাথে অভিনয় জগতে আসার কথা ? কে বেশী জায়গা রাখে জীবনে নাচ না অভিনয়?
পার্থিব – আসলে যারা নাচ করেন অথবা করেনও না শুধু দেখেন,আমার মনে হয় সবাই জানেন, নাচ টা তো শুধু নাচ নয়!নাচের সাথে আরো অনেককিছু ইনভোলভড থাকে,এক্সপ্রেশন থাকে,আরো অনেক কিছুই থাকে।আমি ছোটো থেকেই নাচতাম।ক্লাস ৮-৯ থেকে শুরু করি!সৌরভ চাঁদের ডান্স গ্রূপ জয়েন করি!সেখানে অনেকে আমার নাচের মধ্যে এক্সপ্রেশন দেখে বলে, তুই অ্যাকটিং একবার ট্রাই করতে পারিস!তারপর রূপসী বাংলা’য় একটা শো আসতো “বেঙ্গলস মোস্ট ট্যালেন্টেড” বলে,সেখানে অডিশন দিলাম এবং সিলেক্ট হয়ে সেকেন্ড রানার আপ হলাম।অভিনয় এবং নাচ দুটোই জীবনে অনেক জায়গা রাখবে তবে যেহেতু অভিনয়টা আমার পেশা তাই এই মুহূর্তে আমি নাচকে ১৯ দেবো এবং অভিনয়কে ২০দেবো।
- অভিনয় জগতে পাওয়া প্রথম সুযোগের ব্যাপারে কিছু বলুন?
পার্থিব – সালটা সম্ভবত ২০১০ কি২০১১!তো ওই ট্যালেন্ট হান্ট শো-এর থ্রু দিয়ে “সবিনয় নিবেদন” বলে একটা সিরিয়ালে’র অফার আসে! কিন্তু আমি সেটা করা শুরু করলেও কিছুদিন পর থেকে ওটার যে ক্যারেক্টারটা করছিলাম,বেসিকালি ওটায় কোনো ক্যারেক্টার তেমন ছিল না তাইও ডিসাইডেড যে আমি ওটা করবো না!আই উইল লিভ দিস প্রজেক্ট।তবে ফর্চুনেট বলা যেতে পারে যে অনিমেষ দা “অদ্বিতীয়া” তে আমাকে রেফার করেন সেটা করি!যদিও ৩দিনের একটা পাঠ ছিল দেন সেটা বুম্বা দা’র চোখে পড়ে ও সেটা দাদা’র ভালো লাগে! আর ঠিক সেই মুহূর্তেই জি বাংলায় “কনকাঞ্জলি” চলছিল এবং বুম্বা দা নিজেই সেখানে তাদের আমায় সাজেস্ট করেন!সেকেন্ড লিড হিসেবে কাজ পাই এবং ওটাই আমার হিসেব মত প্রথম ব্রেক।
- ইন্ডাস্ট্রীতে কাছের বন্ধু বলতে কার কথা মাথায় আসে সবার প্রথমে?
পার্থিব – ইন্ডাস্ট্রিতে বন্ধু বলতে আমরা যারা একসাথে কাজ করি,সবাই তো আমরা কলিগস ,আর বন্ধু সবাই।তবে কাছের বন্ধু তো সবাই হতে পারে না বা হয়না!তবে যদি ইন্ডাস্ট্রিতে কাছের বন্ধুদের নাম নিতে হয় দেন আমি নাম নেব জয়িতা গোস্বামী ও গৌরব চ্যাটার্জি’র।
- বাড়ির লোকের অনুভূতিটা ঠিক
কেমন হয় আপনাকে যখন টিভি’র পর্দা’য় দেখে?
পার্থিব – আমাদের বাড়ির দূর থেকেও দূরে এই প্রফেশনে কেউ ছিল না কখনো!সবাই ব্যবসা নিয়েই বিজি!আমিই প্রথম এই ফিল্ডে!বাবা-কাকা’রা সবসময় টাইম পান না দেখার ব্যবসার কারণে!তবে বাবা-কাকা’রা বাইরে থেকে ফিডব্যাক পান যে এই করছে ভালো আপনার ছেলে বা ওই করছে!
- শেষ কাজ করলেন রাণি রাসমনি ধারাবাহিকে, টিমের সবাইকে ঠিক কতটা মিস করছেন?
পার্থিব – আমি যতটা না সিরিয়ালকে মিস করছি তার থেকে বেশি আমার কলিগদের মিস করছি!যেমন গৌরব বাবু,প্রীতম বাবু,দ্বিতিপ্রিয়া, সম্পূর্ণা, অস্মিন সবাইকেই মিস করছি!একসাথে মজা করে কাজ করা মিস করছি।বিশেষ করে আমাদের ছেলেদের একটা টিম ছিল।এটা তো বড়ই মিস করছি!বাট ঠিক আছে,এটাই পার্ট অফ লাইফ।ইন্ডাস্ট্রিটা বড্ড ছোট!আবার কোথাও না কোথাও একসাথে কাজ করবো।
- এবার আসা যাক একটু অন্য কথায়!বাড়ির লোক আর বন্ধু-বান্ধব ছাড়া এমন কেউ স্পেশাল বন্ধু আছে যে সবসময় সাপোর্ট করে যায়?
পার্থিব – সবার লাইফেই কেউ না কেউ স্পেশাল মানুষ থাকে!সেটা কারো কাছে বাবা,হতে পারে কাকা,হতে পারে মা।সেরকম আমার লাইফেও স্পেশাল মানুষ আছে!সে আমার কাজ কে সবসময় সাপোর্ট করে সেটাও বলবোনা আবার সাপোর্ট করেনা সেটাও বলবো না!ঠিক কাজ হলে বলে ঠিক করছি বা ভুল কাজ হলে বলে ভুল।সেটা আমার কাজের ওপর ডিপেন্ড করে আমি কতটা সাপোর্ট পাচ্ছি।
- অবসর সময় কীভাবে কাটান?
পার্থিব – খুব একটা অবসর সময় পাইনা!সিরিয়াল বা ই-সিরিজ যাই করি না কেন তার থেকে একটুও অবসর যদি পাই পুরোটাই ব্যবসা’য় দিতে হয়।তারপরেও যদি একটু পেয়ে থাকি তাহলে বলবো মুভি দেখা আমার খুব পছন্দের!তাই আমি সেটাই করি।
- কি খেতে সবথেকে পছন্দ করেন?
পার্থিব – আমি বেসিক্যালি ভেজিটেরিয়ান!তাও আমার পছন্দের ডিশ- ডাল,ভাত আর আলু ভাজা।কিন্তু এখন তো ডায়েটিং-এ তাই ডাল আর ভাত খেতে পারলেও আলু ভাজাটা খেতে পারিনা!
- পছন্দের তিনজন ডিরেক্টর,তিনজন অভিনেতা ও অভিনেত্রীর নাম?
পার্থিব – ইমতিয়াজ আলি ওনার সাথে আমি একটা অ্যাড করার সুযোগ পেয়েছিলাম,কিন্তু আমার অন্য কাজের কারণেই হয়ে ওঠেনি।শিবপ্রসাদ দা’র সাথেও কাজ করার ইচ্ছে আছে!তারপর আসছে অ্যাক্টর!তবে অ্যাক্টরদের লিস্ট টা অনেক বড়।তবে একজনকে দেখে আমি বড্ড ইন্সপায়ার হয়েছিলাম!তিনি হলেন শাহরুখ খান!তারপর আসছেন রণবীর কাপুর ও পরেশ রাওয়াল।আর অভিনেত্রীদের মধ্যে আমি নাম নেবো সারা আলি খান,জয়িতা গোস্বামী ও অমৃতা চট্টোপাধ্যায়-এর।
- আপকামিং কাজের কথা কিছু বলুন?
পার্থিব – আপকামিং কাজ নিয়ে এখনো কিছু ভাবিনি!জাস্ট বললাম সবে ১০দিন হয়েছে সবে কাজ শেষ হয়েছে!কথা চলছে!তবে যতক্ষণ না কিছু হচ্ছে আমি কিছু বলতে পারছি না!লেটস সি কি হয় না হয়!কারণ স্ক্রিপ্ট পড়তে হবে দেন ডিসাইড করতে হবে!ইটস আ লং প্রসেস।তবে ইচ্ছে আছে গ্যাপ নেব তারপর আবার ফিরবো!আমাদের প্রফেশন তো ভীষণ আনসার্টেন অ্যাস ইউ নেভার নো কখন কি হচ্ছে না হচ্ছে!সো দেখা যাক…
- আপনার ফ্যানের জন্য কিছু মেসেজ ?
পার্থিব – ফ্যানেদের জন্য অনেক রকমের মেসেজ আছে।প্রথমেই বলি,যারা এই প্রফেশনে আসতে চাইছো,মেক সিওর দ্যাট ইওর ব্যাকগ্রাউন্ড ইস স্ট্রং।এডুকেশনাল দিক দিয়ে ফার্স্ট অফ আল ইউ কমপ্লিট ইট , ভেবে তারপরে আসো।কারণ তোমার এই স্ট্রাগল টা সাকসেসফুল না হলে যাতে তুমি অল্টারনেটিভ ওয়ে বেছে নিতে পারো।আর হিউম্যান সাইকোলজি অনুযায়ী, কখনো কোনো কাজ ক্লিক না করলে মন-মেজাজ খারাপ হয়!কিন্তু বেশি মন-মেজাজ খারাপ করো না।পেইন ইস ইনিভেটেবল বাট সাফারিং ইস অন আস!কষ্ট তো হবেই কিন্তু সাফারটা না করাটাই ভালো।ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই খুব ভালো হবে!আমি খুবই পজিটিভ একজন,তাই অলওয়েস বি পজিটিভ
সেকেন্ড,প্লিজ ডোন্ট ড্রিঙ্ক অ্যান্ড ড্রাইভ।এবং আমার মনে হয় বর্তমান জেনেরশন ভীষণ ভাবে স্মোকিং,ড্রিঙ্কিং,নেশায় জড়িত হয়ে যাচ্ছে!বিলিভ মি ইট ডাস নোট মেক আ হিউম্যান কুল।সো আমার মনে হয় নেশাটা না করাটাই ভালো।
- সবশেষে আমাদের LaughaLaughi’র জন্য কিছু মেসেজ?
পার্থিব – তোমরা খুব ভালো কাজ করছো! এগিয়ে যাও।অ্যান্ড অলওয়েজ বি পজিটিভ।থ্যাঙ্ক ইউ।