অনিকেত

তখন কত হবে? পাঁচ কি ছয়। বেশিরভাগ মাসির বাড়ি পড়ে থাকতাম।
খেলার সাথী দিদি ও আমার চেয়ে এক বছরের বড় দাদা।রান্না বাটি খেলতাম।
দিদির টা মনে নেই তবে অদো দাদা বর হত আর আমি সব সময় বউ সাজতাম।
যখন আমাদের খেলাঘরে রাত নামত, আমরা তখন সোহাগ করতাম….
এক চাদরে লুকিয়ে, ও আমার ওপর শুয়ে নিজের শরীর আমার গায়ে ডলতো, আমি ভালো পেতাম।
বয়স বাড়ার সঙ্গে রান্না বাটি খেলা বন্ধ হল, তবে ওর আমার বর বউ খেলা চলত…..
সিঁড়ি বেয়ে নিচের ঘর অথবা চিলেকোঠার দরজা সুযোগ পেলেই আমাদের বন্দি করত।
এদিকে তখন মায়ের আড়ালে সিঁদুর টা লিপস্টিক টা মাখতাম। আবার ফোনে বা ফেসবুকে মেয়ে সেজেই ছেলেদের সাথে মিশতাম।
অনেকের সাথে শুয়েছি, তবে প্রতিটি বার নিজেকে মেয়েই ভেবেছি। যদিও প্রথম প্রথম ছেলেদের পোষাক পড়তাম।
আজ অদো বিবাহিত, বিয়ের পরেও আমার সাথে শুয়েছে, আমি অভিমান করায় বলেছিল : তুই তো আমার প্রথম স্ত্রী।
এখন আর ওর সাথে যোগাযোগ নেই। সেই বার এক্সিডেন্টে যখন আমার পা বাঁধ যায়; তখনই ব্যাটা কে চিনে গেছি।
আমার আর ওর ব্লাড গ্রুপ এক; এবং দুর্লভ। ও এক ফোঁটা সাহায্য করে নি।
বলেছিল : একটা হিজরা কে রক্ত দেওয়া তো দুরের কথা ও যে পরিচিত তা বলতেই ঘৃণা করি।।

Facebook Comments Box

Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *