abhik

অলিগলি

আমি বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে থাকি। এমনিতেই কোনোকালে গুছিয়ে কথা বলার অভ্যেস নেই আমার। তার ওপরে সুবীরকে দেখে এমন ঘাবড়ে গেছি যে কি বলব। অজুহাত সাজানোর সামান্য সময়টুকুও হাতে নেই।…

অলিগলি

লেখনীর একরত্তি দেহে বন্দি জীবন হয়তো বা একসময় ফুরিয়ে আসে, কিন্তু প্রতিদিনের জীবনকে কেবল দুই মলাটের মাঝে আটকে রাখা চলে না। চোখ বুজে মনের অতল গর্ভ থেকে যখন খুশি এক…

অলিগলি

শৈশবের অলিগলি। একটা ঘটনার কথা বলি বরং। স্কুলে পড়ি তখন। গোঁফের রেখা ক্রমশ ঘন হয়ে উঠছে। হাফ প্যান্ট ছেড়ে ফুলপ্যান্টে পৌঁছতে বেশি দেরি নেই। পড়ার চাপে চোখের তলায় কালি, লিখে…

অলিগলি

কথায় বলে – বর্ণচোরা আম। আমার তো খালি মনে হয় বাড়ির ঘড়িগুলো এমনই একখানা করে জিনিস। কাঁটা দুটো হাবভাবে ওরকম গোবেচারা নিরীহ গোছের হলে কি হবে, ওদের মতিগতি বোঝা বড়ো…

কথোপকথন মুহূর্তের নয়

একটা সুস্থ জীবনের প্রতীক – চুপি চুপি আসে আর অধরা স্বপ্নের দোহাই দিয়ে অসংকোচে একবার করে ছুঁয়েই চলে যায়; দলা পাকানো ভাতে জীবন শুধু অস্তিত্বের সাথে মেলামেশায় বিশ্বাসী, কাছাকাছি বাস্তবের…

কথোপকথন মুহূর্তের নয়

সেই ভোর থেকে রাত কেটে যায় একরকম, কিছু উষ্ণতার মাত্র এক শব্দের রোমন্থন সজীবতার সামান্যটুকু উপমায়, খোলসের মতো ছড়ানো-ছিটোনো ঝরা পাতার বিছানায় কতগুলো হাড় জিরজিরে শরীর, স্পন্দনের শেষ আশ্বাসে গড়িয়ে…

কথোপকথন মুহূর্তের নয়

অদুরের আগমন নিবিড় চলনপথে আপন গতিতে, পরিস্থিতির পরোয়া অস্তিত্বহীন – ক্রমে আগামীর প্রসার কল্পনায় আলীন সোনার পাথরবাটিতে, মলিন হিমরেখায়… গনগনে দিনের আঁচ ভুলে একটুকরো প্রশান্তি প্রায়শই নেমে আসে শেষরাতে, শিথিল…

বেমানান

সন্ধে নামতে তখনও দেরি ছিল। এমনিতে গাঁয়ের উত্তরপ্রান্তে নাকি শীতটা একটু বেশিই পড়ে। একে তো সন্ধে হলে এদিকে আলো-টালোর নামগন্ধ থাকে না। অন্যদিকে এক পশলা বৃষ্টি নেমে সমস্যাটা আরও বাড়িয়ে…

সব বুঝি অচেনা

নীরব নীলের দিঠি সবেমাত্র শেষরাতে চেয়েছিল ঘুম, দেহে একবিন্দু আশ্রয় কেড়েছে যার জীবনকালের কুমকুম, সময় তো টেকেনি; সে নিছক সান্তনায় জিয়োনো ভিনদেশ, মিথ্যে মেয়াদের অসমাপ্ত গুজবে দুদিনের তুমি আর নিশ্চিত…