“না না, আজকে আমি কোনোমতেই কলেজে যেতে পারব না, দুবছর পর আজ রৌনক কোলকাতায় আসবে… আমার কাছে”― এই বলে সৌমি ফোনটা কেটে দিল।
সকাল থেকে বাষ্পাকুল চোখে সে বসে রয়েছে জানলার ধারে, শুধু রৌনকের অপেক্ষায়!
- ওই তো, একটা ক্যাব এসে থামল গেটে, ড্রাইভার ধীরে ধীরে লাগেজগুলো নামাচ্ছে| সৌমি আর অপেক্ষা না সইতে পেরে একছুটে দরজায় চলে গেল।
এবার শুধু বেল বাজার অপেক্ষা…
ওর ব্যাকুলতা বুঝতে পেরেই বেলটা যেন বেজে উঠল পরপর তিন বার— “ক্রীং, ক্রীং, ক্রীং!”
দরজা খুলতেই রৌনক উচ্ছাসে জড়িয়ে ধরল সৌমিকে,
“মা, আমি এসে গেছি…”
ছেলের বুকে মাথা রাখতেই সৌমির চোখ আর বাঁধ মানল না, প্রফেসর সৌমি সরকার বাচ্চাদের মত কেঁদে ফেললেন।
মা-ছেলের পুনর্মিলনের মুহূর্ত বোধহয় এমনই অশ্রুসিক্ত, মধুর হয়, যে মুহূর্ত অপরিবর্তিত থাকে কালে কালে, যুগে যুগে…
Facebook Comments Box
Leave a Reply