অন‍্যান‍্য সব বাদ দিলে,

কৈশোরে পা পিছলে হৃদয় ভেঙে,

আমি তখন সদ‍্য সদ‍্য প্রেম নামক অসুখে পড়েছি।
সমস্ত রাজপাট ছেড়ে এক জনেতেই দিবানিশি মগ্ন।
অরাজনৈতিক নৈরাজ্যের কবলে সমাজ তখন ভগ্নপ্রায়!
স্বার্থপরের মতো একবিন্দুও চোখে ধরা দেয়নি এসব!

বিবিধ বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা সব চুলোয় গেছে,

তখন অন‍্যান‍্য সমস্ত বেকার, অকাজ মনে হয়েছে!

প্রচণ্ড এককেন্দ্রিক মন আর

এককোণা হৃদয়ের আবেশের বন্ধনে আবদ্ধ আমি একাই।
তবুও যেন ঐকিক নিয়মে প্রেম পরিসীমা বেড়েই চলেছে!
ঘুমের মধ‍্যেও চেনা মুখ বারবার হাতছানি দিয়ে ডাকত!
রাত বাড়লেই বাধ্য হয়ে হ‍্যালুসিনেশনে ভুগতাম।

বোকার মতো প্রেমের দায়ে,

অন‍্যান‍্য সমস্তকে ছুটি দিয়ে,

বুকে চিনচিনে ব‍্যাথার আদরে তোমায় রেখে রোজকার গল্পের ভিড়ে হাসিমুখে মিশে যেতাম, বাধ‍্য অপ্রেমিকের মতো, তুমিটা যে ভীষণ দামী! তবুও দেখো, মনের মধ‍্যে অন‍্য কারোর বাসা বেঁধে, তুমি মিথ‍্যে প্রেমের পাহারা দিয়ে প্রতিনিয়ত আমার শরীর জুড়ে ক্ষতের দাগে তোমায় রেখেছ! পাগলের মতো ভুলতে চেয়েছি তোমায় রাত্রিশেষে।

নেশার দায়ে তখন ডেলি রামের নাম করছি নাস্তিক হয়েও।
অভুক্ত  শিশু গুলোর মুখ তখন একটি বারের জন‍্যও মনে পড়েনি!
অথচ কবিতার কন্টেন্ট হিসেবে ওদের স্বার্থপরের মতো ব‍্যবহার করেছি!  ছি!
সবশেষ প্রেম রয়ে গেল অপ্রেমের ফ্রেমে স্মৃতির দেওয়ালে বন্দি হয়ে!

উচিত অনুচিতের সমালোচনা না করেই অপেক্ষার প্রহর গুনেছিলাম!
হয়তো বা কোনোদিন সে বুঝবে স্পন্দনের পরিসংখ্যান, এই ভেবে।
বোকার মতো কতবার এঁকেছি তাকে কবিতার ছন্দে নূপুরের সুরের রাগিনী তে।
বুঝিনি,  হৃদয়ের রঙের আদর মাখতে চায়নি ‘তুলি’!

প্রেম এবং অন‍্যান‍্য সমীকরণটা মেলাতে পারিনি,

প্রত‍্যাখ‍্যানের গল্প শেষে, নিজেকে ঘৃণা করেছি একা রাতের ঘুটঘুটে আঁধারের পরিসীমার আড়ালে!

তুমি ভালোবাসতে পারোনি ঠিকই, ঘৃণা করতে শিখিয়েছ!

 

Facebook Comments Box

By Staff Writer

Editorial Team of LaughaLaughi

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *