আরে মশাই ভাত তো খেলেন অনেক, এবার ভাবুন তো এই পুষ্টিকর দুনিয়ায় কি করে পেটও ভরবে আবার সঙ্গে ভরপুর পুষ্টিও পাবেন।
তার উপর আমাদের জীবনে সময়ের যা আকাল, তাতে যদি চটজলদি খাবার পেয়ে যান, তাহলে তো সোনায় সোহাগা আর পুষ্টি ষোলোআনা।

রোজ রোজ একই খাবার খেতে খেতে নিশ্চয়ই আপনিও bore হয়ে গেছেন।
আবার আমরা তো সবাই চাকুরিজীবি। তাই, এমন কোনো খাবার আমাদের বেছে নিতে হবে যা বানাতেও কম সময় লাগবে, পেটও ভরবে আর পুষ্টিও দেবে।
এই সমস্ত গুণযুক্ত কোনো খাবারের নাম আপনাদের মাথায় আসছে?
আমার তো আসছে! কি জানেন? বাঙালির সেই পুরোনো আর প্রিয় খিচুড়ি!
হ্যাঁ, খিচুড়িই দিতে পারে আমাদের এই সমস্ত Facility!
○কি করে?
●চলুন দেখা যাক খিচুড়ি ঠিক কিরকম role play করতে পারে আমাদের খাবারে, কেনই বা এতো খাবার থাকতে খিচুড়ি!

কখনো ভেবে দেখেছেন, কোনো অসুখে ডাক্তাররা কেন সবসময় খিচুড়ি prefer করেন? বা কখনো hospital-এ admit থাকলেও অনেকসময় গলা ভাত বা খিচুড়ি রুগীর পথ্য হিসাবে দেয়?
এগুলোর পিছনে একটাই কারণ;
●খিচুড়ি হলো সহজপাচ্য এবং এতে একইসাথে চাল ও ডাল দুটোই থাকায়,
এর থেকে আমরা যেমন Carbohydrate পাই, সেরকমই আমরা পাই Protein।
তাছাড়া, খিচুড়ি যদি বিভিন্ন সবজি দিয়ে বানানো যায় তাহলে তার পুষ্টিগত মান আরো উন্নত হয়।
তাই শুধু রুগীর পথ্য হিসাবেই নয়, আমরা আমাদের দৈনন্দিন খাবারেও মাঝে মাঝে খিচুড়িকে জায়গা দিতে পারি।

■আসুন দেখা যাক খিচুড়ি ঠিক কি কি ভাবে আমাদের খাবারকে আরো পুষ্টিগতভাবে উন্নত করতে সাহায্য করে:
●1. আগেই বলেছি, চাল ও ডালের মিশ্রণ থাকায় খিচুড়ি থেকে আমরা Carbohydrate এবং Protein দুটোই পাই।
তাছাড়াও আমরা মুগ ডাল থেকে vitamin-C, magnesium, calcium, potassium, phosphorous ইত্যাদিও পেয়ে থাকি যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
এছাড়া এতে আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় দশ রকমের amino acid থাকে।
সাধারণত, খিচুড়ি গরম ঘি দিয়ে পরিবেশন করা হয়, যা থেকে আমরা আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় calorie-র চাহিদা মেটাতে পারি।
আবার বিভিন্ন ধরণের মরসুমি সবজি যদি খিচুড়িতে পড়ে, তাহলে যে শুধু পুষ্টিগত গুণই বাড়ে তাই নয়, স্বাদও দ্বিগুণ হয়ে যায়।
ফলে, এটি একটি সম্পূর্ণ খাদ্যে পরিণত হয়, যেখানে সবধরনের পুষ্টিগুণ বজায় থাকে।

●2. যেসমস্ত ব্যক্তিরা celiac disease-এ ভুগছেন বা যাদের gluten যুক্ত খাবারে allergy রয়েছে, তাদের জন্য খিচুড়ি হলো আদর্শ খাবার।
কারণ, gluten যেসব খাবারে থাকে সেগুলি হলো: wheat, barley, rye ইত্যাদি, কিন্তু খিচুড়ি বানাতে এগুলির একটারও প্রয়োজন হয় না। তাই gluten free খাবার যদি কেউ খেতে চান তাহলে চোখ বন্ধ করে খিচুড়ি খেতে পারেন।

●3. খিচুড়ির সবচেয়ে বড়ো গুণ হলো এটি চটজলদি হজম হয় এবং পেটও হালকা রাখে। তাই, যাদের পেটের সমস্যা আছে বা যাদের হজম শক্তি দুর্বল তারা নিশ্চিন্তে খিচুড়ি try করে দেখতে পারেন।
শুধু পেটের সমস্যাই নয়, heart সংক্রান্ত কোনো সমস্যা বা শ্বাসকষ্ট হলেও খিচুড়ি খাওয়া যেতে পারে। এটি semisolid হওয়ায় রুগীরও খেতে সুবিধা হয়। তাই বিভিন্ন dietician এবং doctor রা রুগীর পথ্য হিসেবে খিচুড়ি suggest করেন।

এখন নিশ্চয়ই কোনো সন্দেহ নেই যে খিচুড়ি আমাদের health এর জন্য ঠিক কতটা উপকারি। তাই রোজ রোজ ভাত, রুটি খেতে খেতে bored হয়ে যাওয়া মানুষদের বলছি, জিভকে একটু নতুন স্বাদ দিতে সপ্তাহে অন্তত্য একদিন মেনুতে রাখুন এই সহজলভ্য এবং সহজপাচ্য খিচুড়ি।
কিংবা যেসমস্ত বউদের অভিযোগ তাদের Husband-রা কোনদিনও রান্না করে খাওয়ায়নি তাদের উদ্দ্যেশে বলছি একবার try করে দেখুন, খুব easily বানাতে পারবেন আর বউ-এর মনও জয় করতে পারবেন।
আরে মশাই এখনও হা করে দেখছেন কি! আর দেরি না করে আজই বউকে challenge-টা দিয়ে দিন; ভয় নেই আমি সঙ্গে আছি

Facebook Comments Box

By Staff Writer

Editorial Team of LaughaLaughi

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *