পরের দিন সকালে যখন ঘুম ভাঙলো, চেয়ে দেখি আমি বিছানায় শুয়ে আর আমার বউ স্নান সেরে আয়নার সামনে চুল ঝাড়ছে।
আমার মনে পড়তে লাগলো রাতের ঘটনার কথা। বউয়ের মুখের দিকে না তাকিয়ে আমি সোজা ওর ঠ্যাং এর দিকে তাকিয়ে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলাম, নাহ!! পা গুলো তো ঠিকই আছে। যেমন সাধারণত মানুষের থাকে।
বউ মনে হয় কিছু আন্দাজ করলো, বললো- ওমন করে কি দেখছ!? আহা! বউয়ের মুখ থেকে যেন মধু ঝরে পড়লো। লজ্জা লজ্জা চোখে এমন ভাবে বললে কার না মাথা নষ্ট হয়। আমারও হলো, ভুলে গেলাম সব বেমালুম।
বউকে একটু জড়িয়ে ধরে আদর করে স্নানে গেলাম।
বাথরুমে গিয়ে দেখি একটা কিসের যেন উটকো আঁশটে গন্ধ। বাথরুম থেকেই মা কে ডাক দিলাম – মা….. ও…. মা…. বাথরুমে কেন তুমি মাছ ধোও?
ধুত্তেরি ভাল্লাগে না!
বাথরুম ছেড়ে কলতলায় গেলাম স্নানে। মিত্তিরদের নিম গাছটার দিকে চোখ চলে যায় আমার। হঠাৎ শুনি মিত্তিরদের বাড়িতে কিসের যেন হট্টগোল।
খাবার খেতে খেতে মা তোলে কথাটা… – জানিস খোকা, কাল রাতে নাকি মিত্তিরদের একশো আটটা পায়রা খোটাসে (একধরনের প্রাণী) খেয়ে নিয়েছে।
অফিস যাওয়ার তাড়ায় আমি আর কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ খেয়ে উঠে পড়ি। দেখি বউ, আমার জন্য টিফিন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
এর বেশ কিছু দিন পর, একদিন সকালে মা খুব চেঁচামেচি জুড়ে দেয়… । – কাল আমি এককেজি খাসির মাংস আনিয়ে রাখলাম, আজ রান্না করব বলে, ফ্রিজে তো মাংস নাই। কোথায় গেল.? ও বউমা… বউমা তুমি কি অন্যকোথাও রেখেছ?…
(এখানে বলে রাখি আমাদের বাড়িতে আমার অফিস থাকার জন্য ৯ টার মধ্যে রান্নাবান্না কমপ্লিট হয়ে যায়।)
আমার মনে কেমন যেন একটা খটকা লাগে। কারন সকালে বউয়ের গালে চুমু খেতে গিয়ে ওর মুখে কেমন একটা আঁশটে গন্ধ পায়…!!
(চলবে)
–অরুণিমা