কথা দেওয়া থাক

মেঘ: ক্লাসটা করলি নাহ্ যে বড়? কোন রাজকার্যটা ছিল বলবি কি?

তিন্নি: মেলা ফ্যাচ-ফ্যাচ করিসনা তো কানের কাছে, ভালো লাগছে না!

মেঘ: চঞ্চল মুখটায় মেঘলা বিষন্নতা দেখছি যে, কী হয়েছে হ্যাঁ? মায়ের সাথে ঝগড়া? নাকি আজ ব্রেকফাস্টে কর্নফ্লেক্স জুটেছে?

তিন্নি: আর কিছু হতে নেই নাকি আমার? ব্যাস এইটুকুই পরিধি?

মেঘ: বালাই ষাট, কে বললো রে হতে নেই? একশো বার আছে। যেমন হতে পারে— হয়তো তুই কলেজ আসার আগে ম্যাচিং কানের দুলটা খুঁজে পাসনি, নয়তো তোর এই ঝাঁটার মতো স্ট্রেটেন করা চুলটা…

তিন্নি: আজ কলেজ আসার সময় অভ্রকে দেখলাম জানিস!

মেঘ: তিন্নি! জানিস তুই কী নিয়ে ভাবছিস? কেন ভাবছিস তুই এসব? তুই কি জানিস…

তিন্নি: হুম। জানি। আমার জীবনের একমাত্র ভুলের কথা, ব্যর্থতার কথা…

মেঘ: চুপ কর তুই, জাস্ট ইগনোর অল দিস্ স্টুপিড থিঙ্গস্ তিন্নি! ফর গডস্ সেক প্লিজ্… এবার অন্তত নিজের কথা ভাব। তোর জীবনের অন্ধকার দিনগুলো যে তোকে উপহার দিয়েছে তার কথা ভেবে তুই তোর জীবনের আর একটা সেকেন্ডও নষ্ট করবিনা, ইনফ্যাক্ট আমি করতে দেবো না তোকে। অনেক কেঁদেছিস তিন্নি, অনেক… আর না। একটু বাঁচ না রে এবার! তোর মতো করে, তোর হাসিটা হেসে, যেটাতে তোকে দেখতে আমি অভ্যস্ত। এই মুখোশটা খুলে এর বাইরের আসল তিন্নিটাকে ফিরিয়ে দে না। সত্যিই চিনতে পারিনা রে মাঝে মাঝে তোকে। প্লিজ্ তিন্নি একটু বোঝার চেষ্টা কর!

তিন্নি: তুই বলছিস্ কথাগুলো? তাহলে তুই এখনও কেন সোমদত্তার তালাবন্ধ বাড়িটার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকিস রে? বলতে পারবি কারণ কোনো, দিতে পারবি আমার এই প্রশ্নগুলোর উত্তর?

মেঘ: অভ্র তোর প্রেম ছিল তিন্নি, আর সোমদত্তা আমার অভ্যেস, প্রথম বদঅভ্যেস! যার অস্তিত্ব না থেকেও মরচে পড়া দাগটা রয়ে গেছে, যার নিদর্শন স্বরূপ ওই জং পড়া তালাটা আজও আয়না হয়ে দাঁড়ায় প্রতিটা নিকোটিনের অবক্ষয়ের।

চলবে…

Facebook Comments Box

By Staff Writer

Editorial Team of LaughaLaughi

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *