( ১ )
— ‘কি হয়েছে লতা ? এতো সকালে—’
মুকুন্দবাবুর প্রশ্নের উত্তরে কিছু বইলতে গিয়েও থমকে গেলাম । কি বইলবো আমি তুকে ভালোবাসি ? লাকি তুহার সাথে ঘর কইরবার স্বপন্ দেখি ? আচ্ছা আমি বিধবা বুলে , কি আমার ভালোবাসা টা সমাজের চোখে অচ্ছুত ? আর সমাজকে কি বুলবো , নিজের লিখা পড়া জানা ছেলেটাই বুঝলনি আমাকে । লক্ষী দিদির কথা ছেড়েই দিলাম । ছেলেটা ভুল বুঝে কাল মদ খেয়ে বাড়ী ঢুকেছে , সেই ছোটবেলার বাবুটা কোথায় হারিয়ে গেছে । সেই বাবু , যে ছোট বেলায় আমার কোলে মাথা রেখে ঘুমোতো সেই এখন ঐসব ছাইপাঁশ গিলে এসে আমায় গালাগালি করলো । তবুও আমি ওর মা আর আমি মুকুন্দবাবুকে যেমন ভালোবাসি তেমনি বাবুর বাবাকেও ভালোবেসেছিলাম তাই আমি বাবুর বাবার কথা মতো , সবসময়—
—‘আরে এই লতা কি হয়েছে ? ঠিক আছিস —’
—‘হ্যাঁ , আমি ভালো আছি । আমি আর তুহার বাড়ি কাজ করবুনি । তুই মুকে ভুলে যা । ’
বুলতে বুলতে কেন জানি না , চোখ ফেটে জল বেরোতে লাগলো । যেমন ঠিক শীতের কুয়াশার মধ্যে বৃষ্টিটা কুনো অজানা কারণে চলি আসে ।
—‘ এই লতা শান্ত হ , আয় ঘরে আয় । ঘরে এসে ঠিক করে বল কি হয়েছে —’
—‘বুললাম তো তোর বাড়িতে আমি কাজ করবুনি । ’
—‘লতা আমি জানি তুই আমাকে ভালোবাসিস । তুই যদি কাজ ছাড়তে চাস , আমি আটকাবো না । ’
—‘আমার ছেলেটা সব জেনে গেছে রে । তু জানিস ও কাল মদ খেয়ে এসে মুকে বাজে কথা শুনাইছে । আমার আর তো কেউ নেই রে ঐ সব । তুই এখন বুল কি করবো আমি ? আর আমিও তুকে খুব ভালোবাসি রে । ’
এবার আর পারলাম না চোখ ফেটে জল বেরিয়ে এলো । মুকুন্দবাবু আমার মাথাটা কে নিজের কোলে টেনে নিল । তারপর আমার কপালে একটা চুমু খেল । কেমন যেন মনে হচ্ছে সবকিছু ভুলে আমি মুকুন্দবাবুর হয়ে যাই । ঠিক যেমন ঠান্ডা হাওয়াটা প্রত্যেক বর্ষায় শহরে ঢলে পড়ে ।
—‘দোরটা বন্ধ করবিনে বাবু ?’
—‘না থাক । দেখুক , সবাই সাক্ষী থাক । আজ সুবর্ণলতা ভিজুক । ’
( ২ )
আমি ঠিক করছি ? বাপটা অনেক আগেই মারা গেছে , তারপর থেকে মা টা সেই ছোট্ট থেকে মানুষ করেছে । মা একবারের জন্য মুখ ফুটে বলেনি তার ইচ্ছা-অনিচ্ছা । শুধু বারবার বলে গেছে “তুকে অনেক বড়ো হতে হবে ”। আমার কি হয়েছে কি জানি ? কেমন যেন সব গুলিয়ে যাচ্ছে । মাঝে মাঝে মনে হয় সব ঠিক আছে আবার মনে হয় এসব ভুল । মুকুন্দবাবু লোকটা ভালো । মাকে কাল রাতে ওরকম কথা বলা উচিৎ হয়নি । না মার সাথে কথা বলতে , ক্ষমা চেয়ে নেবো । মা বোধহয় এখন মুকুন্দবাবুর বাড়ী কাজ করতে গেছে —
( ৩ )
বৃষ্টিটা আবার শুরু হয়েছে । সুবর্ণলতা যেন ধীরে ধীরে অবশ হয়ে যাচ্ছে । ফুলের পাপড়ির মতো ধীরে ধীরে সব আবরণ সরিয়ে সারা গায়ে বৃষ্টি মাখার জন্য তেরী হচ্ছে । মুকুন্দবাবু নাভি উন্মুক্ত , নাভীর নীচের পৌরুষত্বের তেজ ধীরে ধীরে বৃষ্টির ঝাপটার সাথে বাড়ছে । যেন কোনো এক আদিম বর্ষার ঐতিহাসিক মিলনের সূচণামুহূর্ত । বর্ষার তেজ বাড়তে লাগলো । সমগ্র প্রকৃতি যেন আজ তৃপ্তি পাওয়ার নেশায় মেতে উঠেছে । এরপর ধীরে ধীরে বর্ষার তেজ কমলো । দুটো ক্লান্ত শরীর একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হলো , শেষ আবরণ টুকুও অদৃশ্য হলো । এখন বিশ্রামের পালা , ঋতু বিশ্রাম—
……..এসবই বাইরে থেকে একজন দেখলো , একা , বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে । ঠিক যেমন বৃষ্টির সাক্ষী থাকে অন্যমনস্ক মানুষের দল—
(ক্রমশ)
The vibrant city of Kolkata is set to host an extraordinary musical event as renowned Indian music…
In a heartwarming ode to friendship and the unifying spirit of Pujo, SVF Brands has…
The year 2024 has not been what I had planned so far. Everything went downhill.…
Following the resounding success of the inaugural edition, SVF Musicproudly announces the arrival of the…
Amidst ongoing speculations regarding the leading lady opposite Shakib Khan in the upcoming film 'Toofan',…
This article originally appeared in DC Journal: https://dcjournal.com/why-does-a-rich-chicago-law-firm-keep-suing-indian-tribes/ Why does a deep-pockets Chicago law firm keep…
This website uses cookies.