নিজের এত ভালো বন্ধুর ওরকম অবস্থা দেখে কার ঘুম হয়? সারারাত জেগে ঘরের এক কোণে বসে আছে রোহিত। বারবার মনে পড়ছে সেই রক্তকরবী ফুলের কথা। বাড়ির কারোর চোখে ঘুম নেই। পাড়া এক দুটো বাড়ি থেকে মাঝে মাঝে শোরগোল উঠছে, হয়তো তারাও জেগে আছে। আজকে রাতটা যেন অন্যদিনের থেকে একটু বেশিই থমথমে, একটু বেশিই অন্ধকার।

স্বপন জ্যেঠু রাতের বেলা বাথরুম করতে উঠেছেন। নিম্নবিত্ত মানুষ উনি, বাড়ির উঠোনে বাথরুমটি আছে। জ্যেঠু লুঙ্গি ঠিক করতে করতে ঘুম ঘুম চোখে এগিয়ে গেলেন বাথরুমের দিকে। নিজের যৌনাঙ্গটা বার করে মূত্রত্যাগ করলেন। কিন্তু হঠাৎই তিনি অনুভব করলেন কেউ একজন তার যৌনাঙ্গটা চেপে ধরেছে। তিনি ছাড়ানোর চেষ্টা করতে লাগলেন। নীচে ঝুঁকে দেখার চেষ্টা করলেন । দেখলেন দুটি সাদা চোখ তাকিয়ে তার দিকে,কিন্তু সে চাহনি বড়োই হিংস্র,যেন সে কিছু চাইছে,কিন্তু পারছে না,আর দেখলেন একটি শীতল হাত। সেই হাতটা ক্রমে তার পিছনে গেল। তারপরই শুরু হল অসহ্য ব্যথা। তিনি স্পষ্ট বুঝতে পারছেন কেউ পেনিস দিয়ে তার মলদ্বারে আঘাত করে যাচ্ছে, এবং বাথরুম রক্তে ভরতি হয়ে যাচ্ছে। জ্যেঠু যেন কিছুই করতে পারছে না তার সামনে…

আতঙ্কে উঠে পড়ল রোহিত। ভোরের দিকে হয়তো একটু তন্দ্রা এসেছিল, আর এমন দুঃস্বপ্ন দেখল সে। উঠে মা কে খুঁজতে থাকে। হঠাৎই সে লক্ষ্য করে পাড়ায় কিছুর একটা শোরগোল। সে ছুটে দেখতে যায়। গিয়ে দেখে স্বপন জ্যেঠুর বডিটার চারদিকে লোক জমা হয়েছে। লোকটাকে একদমই চেনা যাচ্ছে না। মুখটা যেন কষ্টে কাতরাচ্ছে, হাত পা গুলো যেন স্থির, আর গোটা দেহে শুকিয়ে যাওয়া রক্ত লেগে । কে একজন পাশ থেকে বলল, হাই ড্রেনের খাঁজে ৩-৪ দিন ধরে আটকে ছিল, পরিষ্কার করতে গিয়ে ওই জমাদার উদ্ধার করেছে। রোহিতের যেন পা থেকে মাটি সরে গেল, মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল , এ কি হচ্ছে পাড়ায়?

আগের পর্বটা পড়তে চান? এখানে ক্লিক করুন – রক্তকরবী

ক্রমশ:

অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *