জীবন বড়োই অদ্ভুত। জীবনের প্রায় তেইশ বছর কেটে যায় কি হতে চাই এই ভেবে। তারপর যদিও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাকে পাওয়ার জন্য কঠিন লড়াইয়ে নামতে জীবন সদা প্রস্তুত। জীবনের সবথেকে সুন্দর সময় কেটে যায় কঠোর পরিশ্রম আর মনোসংযোগ করতে করতে।

তারপর জীবনের তিরিশ বছরের দোরগোড়ায় পৌঁছে, লক্ষ্যে উপনীত হয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় বলে মনে করে। কিন্তু তখনই ঘটে জীবনের আসল মজা। কর্মরত হওয়ার পর চেপে বসবে কতোগুলো দায়িত্ব। সেগুলোর বোঝা জীবন শেখাবে তুমি কতটা দায়িত্বশীল।

অন্যদিকে জীবনের তিরিশ বছরের পরিশ্রম যদি হাতের মুঠোয় এসে না ধরা দেয় তাহলে তো কথায় নেই― শুরু হয় জীবন যন্ত্রণার অন্য রূপ। যা প্রতিনিয়ত বুঝিয়ে দেবে তোমার জীবন বৃথা, সমস্ত সুখ থেকে তুমি উপেক্ষিত।

কিন্তু একটা বিষয়ে আমরা কেউ অবগত নই―জীবন শুধু বাঁচতে শিখিয়েছে সুন্দর ভাবে। জীবনে আমাদের সুন্দর মুহূর্ত নিয়ে বেঁচে আছি। আর সেটার কমতি অনুভব করলেই জীবন দুঃস্বপ্নে ভরে ওঠে। কে কতোটা টাকা উপার্জন করে বা ডিগ্ৰী নিতে পারলো, কতো বড়ো পোষ্টে চাকরি করে ― এগুলো নিয়ে জীবন চলে না।

জীবন চলে মুহূর্তে।

পড়াশোনা হোক বা কর্মসূত্র সবক্ষেত্রেই আমরা সুন্দর মুহূর্ত কুড়িয়ে রাখি, যেটা মনের গোপনেই থেকে যায়। অফিস ফেরত ব্যক্তি বা কাজ খুঁজতে বেরিয়ে হতাশ যুবক ও বাসের জানালায় বসে স্মৃতিচারণ করে কিছুটা হলেও ভালোলাগা উপলব্ধি করতে থাকে।

আমরা জীবনে লক্ষ্য নয় আমি কিসে ভালো থাকবো সেটাতেই বোধহয় সবথেকে বেশি খুশি থাকবো। জীবন মানেই এগিয়ে চলা। আর লক্ষ্য যদি এগিয়ে চলতে বাঁধা সৃষ্টি করে তাহলে তো আর জীবন-ই থাকলো না।

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *