সময় বিকেল ৪:৩০: অমলবাবু তাঁর সাদা রঙের স্কর্পিও গাড়িটা পার্ক করলেন মলের পার্কিং জোনে। ওনার গাড়ির পাশে রাখা হবুহ ওনার গাড়ির মত দেখতে একটা গাড়িকে কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে দেখলেন। এবং মলের ভেতরে র‌ওনা দিলেন। বেশ ভালো মেজাজেই ছিলেন। হঠাৎ মনে হল মলের সিসিটিভি ক্যামেরা গুলো যেন ওনার দিকেই তাক করা আছে। মনে হচ্ছে যেন ক্যামেরা গুলো তাঁর প্রতিটা চলাফেরার ওপর নজর রাখছে। বেশ কিছুক্ষন এটা লক্ষ্য করার পর এই অস্বস্তি কাটাবার জন্য ট্রায়াল রুমে গিয়ে হাঁফ ছাড়লেন।

সময় বিকেল ৫:৩০: আরে হাম কেয়া মজাক কর্ রহে হে তুমরে সাথ্?? হাম আভি নিচে নাহি আসাকতে বিবি কে সাথ হে হাম। মিনিমাম ১ ঘন্টা তো লাগেগা। তুম এক কাম কারো। তুম মেরে গাড়িকা নাম্বার নোট কারলো অউর উসকো ছুপা দো। নাম্বার হ্যয় WBxxxxx7, হাঁ হাঁ সাফেদ স্কর্পিও। উধার সে উস চিজ্কো জলদি ছুপাও।
অমলবাবু তাঁর পাশের ট্রায়াল রুমে থাকা লোকটার ফোনের কথোপকথন শুনছিলেন। মনে মনে ভাবলেন তাঁর গাড়িটাও তো সাদা স্কর্পিও। এক‌ই রকম দেখতে শুধু প্লেটনম্বরে 7 এর বদলে 6। আর‌ও ভাবলেন লোকটা যদি বেআইনি কাজের সাথে যুক্ত থাকে? তাহলে ভুল করে যদি ওনার গাড়ির সাথে গুলিয়ে ফেলে তখন তো উনি ফাঁসবেন।

সময় বিকেল ৩:৩০: ওও ভাই সাহাব গাড়ি চেক কারাইয়ে আপনা। কুছদিনো সে সিকিউরিটি থোড়া বাড়্ গ্যায়া হ্যয়। পার্ক করনে সে পেহলে গাড়ি ভি চেক করনা পড়্ রাহা হ্যয়। ইয়ে ডিকি থোড়া খোলিয়ে। ক্যয়া হুয়া খোলিয়ে!! ইয়ে ক্যয়া ইসমে তো ড্রাগস্ হ্যয়। রুকিয়ে ম্যয় আভি পুলিশকো ফোন কারতা হু। আআআআআআ!! আহ্।
সিকিউরিটি গার্ডের রক্তাক্ত দেহটা টানতে টানতে কে যেন একটা গাড়িতে তুলল।

সময় বিকেল ৫:৪৫: অমলবাবু হনহন করে হেঁটে গেলেন পার্কিং এর দিকে। গিয়ে ওনার গাড়ির পাশের স্কর্পিও টায় উঁকি মারলেন। ওনার নিজের চোখকে উনি বিশ্বাস করতে পারলেন না। হাঁটা দিলেন মলের সিকিউরিটি হেড অফিসের দিকে। মনে মনে ভাবলেন, লোকটা মল থেকে বেরিয়ে যাবে এখুনি। তার আগে ওনাকে যা করার করতে হবে।

সময় সন্ধ্যা ৬:১৫: আরে হাম কেয়া মজাক কর্ রহে হে তুমরে সাথ্? হাম আভি নিচে নাহি আসাকতে বিবি কে সাথ হে হাম। মিনিমাম ১ ঘন্টা তো লাগেগা। তুম এক কাম কারো, তুম মেরে গাড়িকা নাম্বার নোট কারলো অউর উসকো ছুপা দো;নাম্বার হ্যয় WBxxxxx7।  হাঁ হাঁ সাফেদ স্কর্পিও, উধার সে উস চিজ্কো জলদি ছুপাও।
অমলবাবুর ফোনে কল রেকর্ডিংটা সিকিউরিটি ইনচার্জ শুনলেন। এবং গোটা মলে অ্যানাউন্সমেন্ট করে দিলেন। “WBxxxxx7 এই নম্বর গাড়ির মালিক সত্বর আমাদের অফিসে যোগাযোগ করুন”।

সময় সন্ধ্যা ৭:২০: “হামনে কুছ নাহি কিয়া ইন্সপেক্টর সাহাব, হামনে খুন নাহি কিয়া”।

তুমনে সির্ফ খুন হি নাহি ড্রাগস্ ভি লেনদেন কারনে চালে থে। ভিক্টিমকো জিস চাকু সে মারা গ্যয়া হ্যয় উসে আভি তাক হাম ঢুন্ড নাহি পায়ে। লেকিন জল্দহি ঢুন্ড লেঙ্গে, তুমহারে গাড়ি কো সিল করনা পড়েগা। সাফেদ স্কর্পিও,হ্যয় না?

“হাঁ সাহাব”। ঠিক হ্যয় আভি চালো লক আপ মে, দেখতে হ্যয় তুমকো।

আর‌ও পড়ুন ভারত আমার ভারতবর্ষ

সময় রাত ১:০০: “হ্যালো!! আই হ্যাভ টু নিউজ। একটা বাজে ও একটা ভালো”।
“টেল মি ব্যাড ওয়ান ফার্স্ট”।

–আমাদের ১ লাখ টাকা লোকসান হয়ে গেছে।
–কিভাবে?
–সেটা গুড নিউজের সাথে জড়িত। ২ কোটি টাকার মাল বাঁচাতে গিয়ে ১লাখ টাকার ৩-৪ প্যাকেট ড্রাগস্ কে শহিদ হতে হয়েছে। আর একজনকে বেঘোরে প্রাণ দিতে হয়েছে।
–অ্যান্ড হোয়াটস্ দ্য গুড নিউজ্?
–শহিদ হ‌ওয়া সেই ৩-৪ প্যাকেট ড্রাগসের বদলা নিয়ে এসেছি। জরিমানা হিসেবে একটা খুনের দায় একজনের ওপর চাপিয়ে দিয়ে এসেছি। উই আর সাক্সেসফুল টু সেভ দ্য ড্রাগস্। তাহলে আজ রাতে পার্টি হোক?
–হোক হোক,কিন্তু মদ এত রাতে কোথায় পাব?
–ডোন্ট ওয়ারি!! আই হ্যাভ গট দ্যাট ফর ফ্রি।
–কোথা থেকে?
–যাকে বলির পাঁঠা বানিয়ে এসেছি তার গাড়ি থেকে। তার‌ও সাদা স্কর্পিও ছিল,গিয়ে বলছি গোটা ঘটনাটা। ব‌উকে লুকিয়ে মালটা গাড়িতে মদ রেখে এসেছিল। তোমার বাড়ি এসে সব ঘটনা খুলে বলব খন।
–উফফফফ্ অমল তুমি সেরা।

Facebook Comments Box

By Staff Writer

Editorial Team of LaughaLaughi

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *