LaughaLaughi

You Create, We Nurture

Fashion

ইক্কত শাড়ি

শাড়ি পড়তে আপামর বাঙালি নারীর ভীষণ ভালোলাগে। আর সেসব শাড়ির ভ্যারাইটি বা বৈচিত্র্য আমাদের দেশে কম নেই। আজকালকার হাল ফ্যাশনে সব মানুষ যেমন পরিবর্তিত হচ্ছে, তেমনি পরিবর্তিত হচ্ছে শাড়ির নকশা, ডিজাইন। এরম একটি শাড়ি ইক্কত।

ইক্কত ভারতের তেলেঙ্গানায় তৈরী এমন একটি শাড়ি যা অনেকেরই ভীষণ প্রিয়। এগুলি ইক্কত শৈলীর ধাঁচে রঙ এবং বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যগত জ্যামিতিক নকশার মতো করে তৈরী হওয়ায় জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই ধরনের জটিল জ্যামিতিক নকশাগুলি তাঁতশিল্পীদের হাতে নতুন দিশা পেয়ে। বাজারে এই ধরনের সুন্দর শাড়ির কদর বাড়িয়েছে। কিছু বছর আগে গেলেও দেখা যায় এই দক্ষিণী শাড়িগুলো বাংলা তথা ভারতের নাম অনেক উজ্জ্বল করেছে। এইসব শাড়িগুলোর নকশায় যেমন বৈচিত্র্য লক্ষ্যণীয় ঠিক তেমনি এগুলো পুরাতনী ভারতের এক গৌরবময় ঐতিহ্যও বটে।

এই শাড়ি বস্ত্র উপাদান হিসাবে সারা ভারত তথা বিশ্বের দরবারে নাম উজ্জ্বল করেছে। ভারত সরকারের সরকারি বিমানবাহক এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানসেবিকারা বিশেষভাবে নকশা করা পচাম্পালি শাড়ী পড়েন। প্রাচীন ইক্কত বোনার অন্যতম কেন্দ্র ছিল অন্ধপ্রদেশ, উড়িষ্যা, গুজরাট।  ইক্কত যেসব স্থান গুলিতে তৈরি হয় সেখানে এটি পগুদুবন্ধু, চিতকি এবং বুড্ডাভাশি নামে পরিচিত। অনেকে এটিকে ওড়িশি ইক্কতের সাথে ভুল করে বসে। তবু দুটো শাড়ির নকশা,বুনন আলাদা। ভারতের অন্যান্য স্থানে এটি পচাম্পালি শাড়ি হিসাবেও খ্যাত। পচাম্পালি নামটি যেসমস্ত গ্রামে এই শাড়ি তৈরি হয় তার মধ্যে থেকেই একটির নাম থেকে এসেছে। ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে তৈরি ইক্কতের থেকে পচাম্পালি ইক্কতের নকশার নিজস্ব অনন্য বৈশিষ্ট্য আছে।

বেশিরভাগ বুনন পচাম্পালি গ্রামে হয়, যেখানে পাঁচ হাজারেরও বেশি এই বস্ত্র উৎপাদন তাঁতযন্ত্র আছে। এই জন্য এই শাড়িকে পচাম্পালি ইক্কত বলা হয়ে থাকে।রাহুল মিশ্রার মতো জনপ্রিয় ডিজাইনাররাও পচাম্পালি ইক্কতের জ্যামিতিক নকশার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছেন।সমস্ত ভারতে অবস্থিত  তাজ খাজানা দোকানে এই ধরনের নকশাকার ইক্কত শাড়ি বিক্রি হচ্ছে। এই ধরনের শাড়িগুলো ব্যয়বহুল হলেও পড়ে ভীষণ আরামদায়ক।

Facebook Comments Box

LEAVE A RESPONSE

Your email address will not be published. Required fields are marked *

লেখালেখির সাথে যুক্ত হতে হতে কখন যে সেটা জীবনের অংশ হয়ে গেছে আর বোঝা হয়ে ওঠেনি। প্রতিদিনের জীবনের অংশ লেখালেখি।