রোম্যান্টিক সিনেমা যদি পছন্দ হয় তবে, ‘টু অল দ্য বয়েজ: আই হ্যভ লাভ্ড বিফোর’ এই সিনেমাটা পছন্দ হবেই।সিনেমাটি জেনি হ্যানের লেখা ‘টিট্যুলার ট্রায়োলজি অফ নভেল্স্’ থেকে সংগৃহীত। বলিউডের রোম্যান্টিক সিনেমাকে টক্কর দেওয়ার মতো একটি সিনেমা। স্কুলে পড়া ছেলে মেয়েদের নিয়ে তৈরি এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন নোয়াহ সেনটিনো, লানা কন্ডোর।

আমেরিকান টিনেজ রোম্যান্স- এই সিনেমায় ভালোবাসা, প্রেম পরিপূর্ণ। লারা জিন (লানা কন্ডোর) তিন বোন আর বাবার সাথে থাকে। ওর জীবনে একটাই খামতি সেটা হল ওর মা নেই। বোনদের এবং বাবাকে ঘিরেই ওর সময় অতিবাহিত হয়। এরই মধ্যে লারা জিনের বড় বোন মারগোট কলেজে পড়ার জন্য বাইরে চলে গেলে ওর জায়গাটা ফাঁকা হয়ে যায়। সবসময়কার বন্ধু, গাইড হারিয়ে গেলে এরম আমরা অনেকেই অনুভব করে থাকি।

লারা জিন আরেকটু ছোটো বয়সে তার ভালোলাগা ৫টি ছেলেকে প্রেমপত্র লিখেছিল, যেটা সে পোষ্ট করেনি- মাঝেমাঝে সেটা খুলে দেখে নিজেকে সান্ত্বনা দেয়। এরই মধ্যে ওর বোন কিটি সেই চিঠিগুলো পোষ্ট করে দেয়। যার ফলস্বরূপ পিটার কেভিনস্কি (নোয়াহ সেনটিনো) আর জশ সেই চিঠি পায়। তার থেকেই গল্প মোড় নেয় অন্যদিকে, পিটার তার প্রাক্তন প্রেমিকাকে ফিরে পাবার জন্য লারা জিনের সাথে মিথ্যে সম্পর্কে জড়িয়ে যায় এবং দেখাতে থাকে যে সে ভালো আছে।

লারা জিন একটা শর্তেই এটা মানতে রাজি হয়, যে চিঠির ব্যাপারে যেন আর কেউ জানতে না পারে। অপরপক্ষে, সেই চিঠির ফলস্বরূপ জশ লারা জিনের সাথে কথা বলতে জানতে ইচ্ছুক, যে সে কি সত্যি ওকে ভালোবাসে কিনা। কিন্তু লারা জিন তা প্রত্যাখ্যান করে।

শেষে দেখা যায়, লারা জিন আর পিটার মিথ্যে অভিনয় করতে করতে একে অপরকে আসলেই ভালোবেসে ফেলে‌। আদ্যপ্রান্ত রোমান্টিক এই সিনেমার আরো দুটি পার্ট আছে। যেগুলিতে তাদের প্রেম এবং ভালোবাসার অফুরন্ত প্রমাণ পাওয়া যায়। একটা টিনেজ প্রেম কিভাবে পরিণত ভালোবাসায় রূপান্তরিত হয় তার গল্প এটি। সিনেমার শেষে সেকেন্ড পার্টের একটা হিন্ট দেওয়া আছে। সেই পাঁচটি প্রেমপত্রের বাকি দুটি কারা পায় বা পরবর্তীতে কি হয় তা দেখার জন্য পার্ট ২ – ‘টু অল দ্য বয়েজ: পি.এস. আই স্টিল লাভ ইউ’ দেখতে হবে। সিনেমার প্রথম পার্ট রিলিজ হয় ২০১৮ তে। পরবর্তী পার্টগুলি ক্রমশ ২০২০ এবং ২০২১ এ রিলিজ হয়। সিনেমাটি নেটফ্লিক্সে আছে বর্তমানে।

Facebook Comments Box

By Priyanka Mitra

লেখালেখির সাথে যুক্ত হতে হতে কখন যে সেটা জীবনের অংশ হয়ে গেছে আর বোঝা হয়ে ওঠেনি। প্রতিদিনের জীবনের অংশ লেখালেখি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *