নেপোটিজম, কর্পোরেট এবং বৃহত্তর ষড়যন্ত্র

গত কদিন এ কিছু কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনার জন্য এই নেপোটিজম শব্দটা জনমানসের শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ করেছে। মূলত শব্দটা সাংবাদিকরা এন্টারটেইনমেন্ট জগৎ এর লোকেদের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করতে ভালোবাসেন, করেও এসেছেন। কিছুদিন আগে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ নিজের সোশ্যাল সাইট এ এক কবিতা আবৃত্তি এর ভিডিও দিয়েছিলেন, তাতে তিনি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেপোটিজম এর বিস্তারের প্রসঙ্গ তুলেছেন। সেই তর্কে যেতে চাই না। আমি এন্টারটেইনমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি এর ওপর কিছু গুলো কথা বলতে চাই।

জনমানসে এখন মূলত যে ধারণা টা মাথায় চেপে বসেছে সেটি হল বলিউড এর সব নষ্টের গোড়া করণ জোহর এবং তার সাঙ্গ-পাঙ্গ কিছু অকর্মণ্য অভিনেতার দল। তাদের ইন্ডাস্ট্রি এর মহারথী দের সাথে সম্পর্ক ভিন্ন কোনো যোগ্যতাই নেই অভিনয় করার।  কিন্তু এই নেপোটিজম বিতর্ক আজ এর নয়। এর শিকড় ইন্ডাস্ট্রি এর বহু পুরনো ইতিহাসে ছড়িয়ে আছে। কমার্শিয়াল হিন্দি সিনেমার স্রষ্টা দের মধ্যে একজন, রাজ কপুর, তাঁর পরিবার এর বলিউড এ আধিপত্য আজ পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেছে। হিন্দি সিনেমার সোনার যুগের রূপকার সেলিম-জাভেদ এর পুত্র কন্যারা বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রি দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং তাদের পরবর্তী জেনারেশনের জন্য লঞ্চিং প্যাড ও তৈরি করে দিচ্ছেন। আজ অডিয়েন্স এর কাছে সোশ্যাল মিডিয়া সহজলভ্য বলে নেপোটিজম শব্দটার সাথে তারা পরিচিত হয়েছে, আওয়াজ তুলছে। কিন্তু একসময় সানি দেওল, ববি দেওল কে লোক তাদের নামে কম ধর্মেন্দ্র এর ছেলের নামেই চিনেছে। অভিষেক বচ্চন এর প্রথমের ছবি গুলো তো অমিতাভ বচ্চন এর সুপুত্র এর পরিচয় এ লোক দেখতে গেছে। কিছু ভালো কাজ ছেড়ে দিলেও এদের প্রত্যেকেই নিজের ক্যারিয়ার এর বেশির ভাগ সময় টা নিম্ন এবং মাঝারি মানের সিনেমা করেছেন; যথেষ্ট ক্ষমতা না থাকার জন্য নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারেন নি, এবং হারিয়ে গেছেন। কিন্তু আশ্চর্য যে তবুও কিছু কিছু অভিনেতা বছর এর পর বছর গড়পড়তা কাজ করে থেকে যায় এবং সব বড় বাজেটের সিনেমা তুলে নেয়; কিভাবে?! একটা সিনেমা তো তার গার্জেন এর নামে শুধু তৈরি হয়না; প্রোডিউসার, প্রোডাকশন হাউস, ডিরেক্টর আছে। তো কি এক একজন ব্যক্তির বা একটা কোনো পরিবারের অথবা সর্বপোরী নেপোটিজম এর এই সিস্টেমটার কী এতটা ক্ষমতা থাকতে পারে যে বছরের পর বছর কোনো অ্যাভরেজ লোককে ওমনি ঘাড় ধরে জনতার চোখে রেলেভেন্ট বানিয়ে রাখতে পারবে?!

বলিউডের কিছু প্রধান প্রোডাকশন হাউস

না, সে ক্ষমতা নেই তাদের। যেখানে কথা আসে কিছু বহিরাগত শক্তি এবং সমসাময়িক অবস্থার। হিন্দি সিনেমায় নব্বই এর দশকে তেমনই এক বহিরাগত শক্তি বলা যায় আন্ডারওয়ার্ল্ড এর প্রভাব। সেই সময়ে আন্ডারওয়ার্ল্ড বন্দুক এর জোরে প্রোডিউসাদের একপ্রকার বাধ্য করত নিজেদের পছন্দের লোকেদের নিয়ে কাজ করতে। কিন্তু দুহাজার শতাব্দীর প্রথম দশক এর প্রথমার্ধে যখন বলিউড এর চালিকা শক্তির ডাইনামিক্স টা বদলায়। তা মূলত দুটি কারণে। এক, মুম্বই আন্ডারওয়ার্ল্ড এর হাতটা অনেকটা আলগা হয় সরকারের হস্তক্ষেপের ফলে আর দ্বিতীয়ত নব্বই দশকের আর্থিক উদারীকরণ নীতির ফল টা ভারতীয় অডিয়েন্সের ওপর ফুলে ফেঁপে দেখা যায়। তার জন্য প্রোডাকশন হাউস গুলো উদার হাতে ওয়েস্টার্ন কালচার এর একটা ক্লোন কপি বানাতে বিশাল ইনভেস্ট করে। ঐশ্বর্য্য রাই বচ্চন, সুস্মিতা সেন প্রমুখেরা বড় বড় লঞ্চ পায়, এবং বেশির ভাগ সিনেমাগুলি সব বিদেশের সুন্দর সুন্দর লোকেশন এ শুট হতে থাকে। মোদ্দা কথা এই দাড়ায় যে আল্টিমেট পাওয়ার সেন্টার টা আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে সরে প্রোডাকশন হাউসের হাতে চলে আসে। বর্তমান সময়ে বলিউডে কিছু বিগ বাজেট প্রোডাকশন হাউসের যদি নাম নেওয়া হয় তবে আসে প্রথমে YRF, তারপর Dharma, তারপর Eros International, Nadiadwala Grandsons; এরাই মোটামুটি বলিউডের বড় বাজেটের প্রজেক্ট গুলো করে এসেছে। তো কি এরা নতুন ট্যালেন্ট এর ওপর ইনভেস্ট করেনা, অবশ্যই করে। তার ফল স্বরূপ আজ শাহরুখ খান অক্ষয় কুমার এর মত মেন স্ট্রিম স্টারেরা ইন্ডাস্ট্রি এ টিকে আছেন এবং রাজত্ব ও করছেন, মনোজ বাজপেয়ী, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী দের মত টেকনিক্যালি স্ট্রং অ্যাক্টাররা তো আছেনেই‌। তার বিনিময়ে শাহরুখ খান নিজের সম্পূর্ণ ক্যারিয়ারটাতে অভিনেতা শাহরুখ থেকে সরে YRF এর কোলে বসে শুধু বস্তাপচা রোম্যান্সই করে কাটিয়ে দিলেন। অক্ষয় কুমার কে একপ্রকার নির্বাসন থেকে মুক্তি দেওয়া, সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা প্রায় Nadiadwala Gradsons এর সব প্রজেক্ট এই অক্ষয় কুমার কে ব্যবহার করার জন্য উদগ্রীব থাকেন সে স্ক্রিপ্ট এর প্রয়োজন থাকুক আর না থাকুক। মনোজ বাজপেয়ী, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীদের কে তো বড় ব্যানারের ছবিতে লিড চরিত্র দেওয়ার তো যোগ্যই মনে করে না এই প্রোডাকশন হাউস গুলো, সে এনারা যতই নিজেকে প্রমাণ করে থাকেন না কেন। আর যাদের ট্যালেন্টর জোর অথবা কনট্যাক্ট এর জোর কোনোটাই খাটে নি, তারা হারিয়ে গেছেন সময়ের গতিতে।

Ritviz–T-Series বিতর্কে ভাইরাল মীম

সিনেমার প্রোডাকশন হাউস থেকে যদি সরে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি এ আসেন তো তবে এই কর্পোরেটদের মনোপলি টা কতটা ভয়াবহ হতে পারে সেটা আরো পরিষ্কার হয়। এই দু হাজার কুড়ি তে এসেও T-Series তার লেবেল এ রিলিজ হওয়া গানের অথবা মিউজিক এর ওপর তার সৃষ্টিকর্তা কে রয়্যালিটী দেয় না। T-Series মুখের ওপর গানের বিটস চুরি করে চলেছে (সাম্প্রতিক উদাহরণ Ritviz এর খুব জনপ্রিয় গান ‘Udd Gaye’ এর ড্রপ বিট চুরি করে এবং ওই ‘ Pati Patni Aur Woh’ এ ওই একই নামের গানে ব্যবহার করে)। দুরবস্থার মাত্রাটা এই ঘটনার থেকেই বোঝা যায় যে একসপ্তাহ আগে যখন সোনু নিগম নাম না নিয়ে T-Series কে সমালোচনা করলেন তখন তার বিরুদ্ধে আরো পাঁচজন আর্টিস্ট বয়ান দেন, আশ্চর্য্যজনক ভাবে তারা নিজেরাই কোনো না সময় T-Series এরই দৌরাত্ম্য এর ভুক্তভোগী। মোটমাট একটি অলিখিত নিয়ম তৈরি করা হয়েছে যে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি এ থাকতে হলে ওই মাফিয়ার  বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না, সে তারা আপনাকে কাজ করতে আটকাক, আপনার গান চুরি করুক অথবা আপনার প্রাপ্য দিতে অস্বীকার করুক। তো একটা কর্পোরেট এর এত ভয়ানক ক্ষমতা কিভাবে?!  উত্তর খুঁজতে একটু পেছনে ফিরে তাকাতে হয়। নব্বই এর দশকে দেশে যখন টিভিতে টিভিতে রামায়ণ, মহাভারত চলছে; গুলশন কুমার এর T-Series একের পর এক ভজন, ধর্মীয় সঙ্গীত এর ক্যাসেট বাজারে ছাড়ছে। এমনি সময় যখন সাতানব্বই সালে গুলশান কুমার এর হত্যা হল তখন T-Series আর পাঁচটা মিউজিক কোম্পানির মত রইল না। T-Series রাতারাতি আবু সালেম আর দাউদ এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর একটা প্রতীক হয় ওঠে সঙ্গে বিশাল পরিমানে দেশবাসীর সমবেদনা পায়। সেই ঘটনার বিশ বছর পরে T-Series ও PewDiePie বিতর্কে T-Series নিজেকে একটা কর্পোরেট থেকে পরিবর্তন করে দেশবাসীর কাছে একটা স্বদেশী প্রোডাক্ট হিসেবে প্রস্তুত করে। একটা ভুয়ো ধারণা সোশ্যাল মিডিয়া এ ডঙ্কা বাজিয়ে বলা হয় যে ‘দেশ কে ভালোবাসার মানে হয় দাড়ালো T-Series কে সাবস্ক্রাইব করা’। দেশের ইউথ প্রধানত ফার্স্ট জেনারেশন ইন্টারনেট ইউজার সমস্টি পাগল এর মত একটা কর্পোরেট জায়েন্ট এর প্রচার করাটা কে স্বদেশী আন্দোলন হিসেবে দেখতে লাগল। এর থেকে T-Series মূল লাভ হিসেবে পেল একটা সহজেই ম্যানিউপুলেট-যোগ্য অনলাইন ভিড়ের আনকন্ডিশনাল সাপোর্ট । যার সবথেকে ভয়ানক পরিণতি হল গিয়ে Messiah Complex এর সৃষ্টি।

Messiah Complex

সোজা বাংলায় Messiah Complex বলতে বোঝায় যে এমন একটা মনস্তত্বিক অবস্থা যেখানে ভিকটিম নিজেকে তার আশপাশের পরিবেশের মানুষদের রক্ষাকর্তা হিসেবে দেখে। তার মতে সে অফুরন্ত ক্ষমতার অধিকারী। এর থেকেও দুরবস্থা হয় যখন সে পায় একটা সাধারণ ভিড়ের সাপোর্ট। এই অবস্থাটার ওপর ভর করে একটা কর্পোরেট  ব্যবসার নামে ছোটো বড় নতুন পুরনোদের নিয়ে সম্পূর্ণ একটা ট্যালেন্টড শিল্পী গোষ্ঠীর ওপর অত্যাচার করে চলেছে; এরই ওপর ভর করে এক অ্যাক্টর রাস্তায় লোক কে পিষে মেরেও চ্যারিটি এর সাদা চাদর গায়ে নিয়ে ঘুরছে এবং এরই ওপর ভর করে একদল স্বঘোষিত অনলাইন বিপ্লবী, কোয়ালিটি কন্টেন্ট আর দেশের ইউথ বাঁচানোর দোহাই দিয়ে Homophobia ছড়াচ্ছে। মূল সমস্যাটা হল সঠিক সময়ে এদের ভুল গুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করা। সমস্যাটা হল অভিনেতা অথবা এন্টারটেইনমেন্ট জগৎ এর কাউকেই পর্দার বা স্ক্রিনের বাইরেও লার্জার দ্যান লাইফ ভাবে দেখার। সমস্যা টা হল এদের গ্ল্যামে সম্মোহিত হয়ে এটা ভুলে যাওয়া যে সেটা শুধুমাত্র এন্টারটেইনমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি বাকি ইন্ডাস্ট্রিদেরই মতো এবং যার প্রোডাক্ট হল সিনেমা, সিটকম, ওয়েব সিরিজ ইত্যাদী।শেষকথা আপনি গ্রাহক, আপনি তাদের প্রোডাক্ট না কিনলে ওদের চলবে না এবং আপনার কাছে না কেনার কারণ ও আছে এবং যথেষ্ট অল্টারনেটিভ আছে।

দেখুন সম্পূর্ণ ব্যান বা বয়কট কোনোদিন এ সমাধান নয়। কারণ প্রথমত কোনো শিল্পী নেপোটিজম এর বলে ইন্ডাস্ট্রি তে এসে থাকে সেই অপরাধে আপনি তার হাত থেকে সৃষ্টির অধিকার কেড়ে নিতে পারেন না, এবং দ্বিতীয়ত আপনি ভিন্ন দেশের অনেক লোক আছে, তারা তাদের আইকন এর সিনেমা গুলোকে একঘেয়ে জীবন হতে ঘন্টাখানেকের ছুটি হিসেবে দেখে। আপনি ব্যান বা বয়কট এর নামে তাদের রুচি ঠিক করে দেওয়ার কেউ নন। আবার এটাও সত্যি যে হাতে সাধারণ মানুষের রক্ত লেগে থাকা এক অপারাধী অথবা হাজার হাজার শিল্পীর টাকা মেরে খাওয়া এক কর্পোরেট এর পক্ষে সৃষ্টি করার অধিকার নিয়ে প্রশ্ন করাটাও নিম্ন রুচির পরিচয়। আমাদের একটা বড় ভুল যে আমরা নিজেদের তুচ্ছ দর্শক বলে মনে করি, এবং ভাবি যে আমাদের হাতে কিচ্ছু নেই। এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে এই গোটা সিস্টেম টা আমাদের প্রয়োজনের যোগানের ওপর ভিত্তি করে চলছে। আমাদের কেনা প্রোডাক্ট খারাপ হোক বে-আইনি হোক সেটা কে ভুল বলা, আর ভুল টা নিয়ে সবাইকে সচেতন করাটা আমাদের কর্তব্য। বড় ব্যানার এর সিনেমা থেকে শুরু করে আপনার প্রিয় ইউটিউব ক্রিয়েটার এর ভিডিও কে একটা এন্টারটেইনমেন্ট প্রোডাক্ট  এবং তার মধ্যে থাকা কলাকুশলীদের শুধুমাত্র তার অঙ্গ হিসেবে তাদের গ্রাহ্য করুন। তাদের কে তাদের ট্যালেন্টের ওপর ভিত্তি করে চিনুন, তাদের নাম বা তাদের ঝাঁ চকচকে লাইফস্টাইল এর ওপর ভিত্তি করে নয়। আপনার আশপাশের ট্যালেন্ট কে সম্মান দিতে শিখুন। অন্তত কারো নতুন চেষ্টার যোগ্য সন্মানটুকু দিতে পারেন আর বন্ধুত্বের নামে ফ্রি তে সুবিধা নেওয়া টা যদি বন্ধ করেন তাহলেই ঢের। আপনার সেই সামান্য পদক্ষেপ গুলিই ভবিষ্যতের নেপোটিজম, কর্পোরেট এর রাজত্ব শেষ করার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবে।

পড়ুন:-উগ্র জাতীয়তাবাদেই কি গনতন্ত্রের বিনাশ?-‘ঘরে বাইরে আজ’ -এর মাধ্যমে প্রশ্ন অপর্ণার

বলিউড এর নতুন ট্রেন্ড এর কিছু উদাহরন

প্রতি দশকে সিনেমার ট্রেন্ড এর একটা শিফট হয় এবং এই পরিবর্তন এর প্রসেস টা কনস্ট্যান্ট চলছেই। সত্তর এর দশকে হলিউড এ স্টিভেন স্পিলবার্গ, মার্টিন স্কর্সেসি, ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা দের হাত ধরে যে নিউ ওয়েভ আসে তার দুটি মূল বৈশিষ্ট্য ছিল প্রথমত সিনেমার বিষয় এর একটা আমূল পরিবর্তন ঘটে চরিত্র ভিত্তিক, রীতিবিরুদ্ধ গল্প দেখানোর দিকে; দ্বিতীয়ত এবং সব থেকে গুরুত্ব পূর্ণ সিনেমা তৈরির প্রধান কর্তৃত্ব প্রোডাকশন হাউস থেকে সরে ডিরেক্টর দের হাতে চলে আসে। তার ফল স্বরূপ আজ আমরা পেয়েছি Godfather, Taxi Driver এর মত কালজয়ী ক্লাসিক। ভারতে মাটির সাথে যুক্ত এবং রিলেটেবল গল্প দেখানোর ওপর ভিত্তি করে যে নতুন ট্রেন্ড এসেছে তা খুব আশা দেয়। হয়তো নিকট ভবিষ্যতে আমাদের দেশের ও সিনেমা এই কর্পোরেট, নেপোটিজম আর প্রভাবশালী লোকেদের বেড়াজাল থেকে বেরোবে এবং সিনেমা সম্পূর্ণ রূপে সাধারণ মানুষের ধরাছোয়া এর মধ্যে আসবে। আজ যেখানে একশো তে এক জন সিনেমা নিয়ে কিছু করার ইচ্ছা রাখে তখন হয়তো আরো দশ জন যুক্ত হবে। স্বপ্ন টুকু দেখাই যায়।

ধন্যবাদ।।

Facebook Comments Box
Staff Writer

Editorial Team of LaughaLaughi

Recent Posts

SVF Music Unveils April Edition of “Banglar Gaan Indies”

Following the resounding success of the inaugural edition, SVF Musicproudly announces the arrival of the…

1 month ago

Mimi Chakraborty and Nabila to Star Alongside Shakib Khan in ‘Toofan’

Amidst ongoing speculations regarding the leading lady opposite Shakib Khan in the upcoming film 'Toofan',…

2 months ago

Why Does a Rich Chicago Law Firm Keep Suing Indian Tribes?

This article originally appeared in DC Journal: https://dcjournal.com/why-does-a-rich-chicago-law-firm-keep-suing-indian-tribes/ Why does a deep-pockets Chicago law firm keep…

6 months ago

Anupam Roy’s ‘Aami Sei Manushta Aar Nei’ is a Musical Masterpiece

In a spectacular celebration coinciding with the birthday of the iconic actor Prosenjit Chatterjee, the…

8 months ago

অনুষ্কা পাত্রর কণ্ঠে শোনা যাবে দে দে পাল তুলে দে

হিমেশ রেশামিয়ার পর সুরাশা মেলোডিজ থেকে অনুষ্কা পাত্রর নতুন গান পুজো আসছে মানেই বাঙালির নতুন…

8 months ago

Srijit Mukherji’s Dawshom Awbotaar is On a Roller Coaster!

The highly awaited trailer of grand Puja release, "Dawshom Awbotaar", produced by Jio Studios and…

8 months ago

This website uses cookies.