আমরা কমবেশি সবাই ইনডোর ও আউটডোর গেমস-এর জন্য পাগল,
খেলা দেখতে ও খেলতে, উভয়েই ভালোবাসি।
স্বাভাবিকভাবেই ইনডোর গেমস ও আউটডোর গেমস-এর মধ্যে কোনো তুলনা হয়না। তবুও, আপাত দৃষ্টিতে দুটো গেমের মধ্যে Strategy-র তুলনা করা যেতেই পারে।
যেমন ‘ফুটবল’ সবার অতি পছন্দের এক খেলা..
তেমনই অনেকের হয়তো এখনও পছন্দের তালিকায় ‘ক্ল্যাশ অফ্ ক্ল্যানশ’ বর্তমান।
এই দুটো গেমসের আপেক্ষিকভাবে তুলনা করতে গেলে ছকের কিছু চেনা জানা মিল পাওয়া যায়।
অনেকেই হয়তো ভাববেন যে, এই দুটো খেলার সাথে মিল কিভাবে থাকতে পারে!
তবুও, কিছু লক্ষ্যনীয় জিনিসের কথা বলা যাক-
১. দুটো খেলাতেই সময়ের আর ধৈর্য্যের এক অদ্ভুত মিল পাওয়া যায়।
শৃঙ্খলার সাথে সাথে বুদ্ধিদীপ্ত ভাবনার প্রদর্শন করতে হয়,
এবং বিপক্ষ দলের ভাবনার সাথে নিজের শক্তিশালী মনোভাব নিয়ে খেলা করতে হয়।
২. ফুটবলে যেমন ডিফেন্স, স্ট্রাইকাররা খেলা তৈরী করে,
এবং নিজের দলকে ধারে ও ভারে শক্তিশালী করে তোলে;
ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানস্’এও ঠিক ততটাই জরুরি হয় একটি শক্তিশালী ডিফেন্স তৈরী করার।
এখানে ডিফেন্স শেষ কথা বলে।
আপনি যতো ভালো ও শক্তিশালী ডিফেন্স গড়তে পারবেন,
বিপক্ষ দলের থেকে আপনি ততটাই এগিয়ে থাকবেন।
৩. ডিফেন্স যদি কোনোরকম ব্যর্থ হয়,
তখন ফুটবলে স্ট্রাইকাররা সেই অক্ষমতা দূর করতে এগিয়ে আসে;
ঠিক যেমন ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানশ-এ CC troops বা Clan Castle troops কাজে নেমে পড়ে।
৪. টিম গেম ‘ফুটবল’এ যেমন ১১জন প্লেয়ারকে নিজের সেরাটা দিতে হয়,
ডিফেন্স দুর্বল হলে যেমন troops অর্থাৎ অ্যটাকিং স্ট্রাইকারও অনেকটাই ফিকে হয়ে যায়;
ঠিক তেমনই ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানশ ও দলগত খেলা,
যেখানে সংখ্যার হেরফের হলেও খেলার আচার ও রীতিনীতি বেশ কিছুটা ফুটবলের মতোই।
এখানেও ডিফেন্স নড়বড়ে থাকলে যতোই উচ্চমানের troops ব্যবহৃত হোক না কেন,
ধারে ও ভারে আপনি একটা দলের দুর্বল প্লেয়ার রুপেই পরিচিতি পাবেন।
সুতরাং, কিছু জিনিস বা তর্কাতর্কিতে না গিয়ে ঠিক এরকম ভাবেও খেলা দুটোকে দেখা যায়।
অবশ্যই দুটো ফিল্ড আলাদা, হতে পারে আপনাকে শারিরীক ভাবে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হবে না ফুটবলের মতো বা আরো ৫ টা আউটডোর গেমস-এর মতো।
তবুও এসব উপেক্ষা করে ভাবতেই পারা যায় যে,
দুটো খেলার মানসিক ও আপেক্ষিক strategy-র ভাবনা চিন্তা একই বা অভিন্ন।