এমন অনেক ব্যক্তি আছে যারা রদবদল করে সিনেমা দেখে থাকে। অর্থাৎ যারা সাংসারিক কিংবা রোম্যান্টিক বা বলা যায়, চলতিধারার সিনেমা/ওয়েবসিরিজ দেখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। শুধু সেই কিছু সংখ্যকই নয়, আমরাও অনেক সময় চলতিধারার রদবদল অথবা বলা ভালো স্বাদ বদল করি এবং অন্য ধাঁচের চিত্রনাট্য খুঁজি। এগুলোতেও ভালোবাসা-সংসার জীবনের গল্প বা আংশিক ছোঁয়া আছে, তবে তুলনায় কম। চিত্রনাট্যের তথা চরিত্রের প্রয়োজনীয়তায় এই ছোঁয়াগুলো আনা হয়। এরকম একটি সিরিজ হল-‘অ্যানাদার লাইফ’।

এই সিরিজটি মহাকাশের প্লটে করা একটি গল্প। কিছু মহাকাশ বিজ্ঞানী মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে ভিনগ্ৰহী বা এলিয়েনদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। কারণ- সেই ভিনগ্ৰহী বা এলিয়েনরা পৃথিবীর বুকে তাদের একটি স্পেস শিপ পাঠিয়েছে। তাই আমাদের বিজ্ঞানীদের ধারণা সেটা হয় বন্ধুত্বের জন্য নয়তো যুদ্ধের জন্য। তাই এই মহাকাশ প্রেরণা। যাকে লিড করছে নিকো। আর তাকে সাহায্য করছে হলোগ্ৰাফিক চরিত্র উইলিয়াম।

মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্যাটি স্যাকহফ (নিকো), স্যামুয়েল অ্যান্ডারসন (উইলিয়াম), জাস্টিন চ্যাটউইন (নিকোর স্বামী এরিক) প্রমুখেরা। গল্পে নিকো আর তার স্বামী এরিকের দাম্পত্য ও তাদের মেয়ের গল্প আছে, এছাড়াও পার্শ্ব চরিত্র জ্যান আর বার্ণির একটা ভিন্ন প্রেমের গল্প আছে।

চিত্রনাট্য তথা গল্প খুব একটা সাবলীল নয় অল্প শিথিলতা দেখা গিয়েছে। এছাড়াও চরিত্রগুলো খুব একটা মজবুত নয়। গল্প শুধুমাত্র নিকো অর্থাৎ মূল চরিত্র কেন্দ্রিক, যা অনেক সময় একঘেয়েমি তৈরী করেছে। এমনি সামগ্ৰিকভাবে বলতে গেলে, খারাপ নয়। ২০১৯ এ প্রথম সিজন এবং ২০২১ নাগাদ দ্বিতীয় সিজন রিলিজ হয়েছে। নেটফ্লিক্সের এই ওয়েবসিরিজটি একটু একঘেয়েমি হলেও দেখতে বসলে খারাপ লাগবে না এটুকু বলা যায়।

Facebook Comments Box

By Priyanka Mitra

লেখালেখির সাথে যুক্ত হতে হতে কখন যে সেটা জীবনের অংশ হয়ে গেছে আর বোঝা হয়ে ওঠেনি। প্রতিদিনের জীবনের অংশ লেখালেখি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *