LaughaLaughi

You Create, We Nurture

Food and Health

মিষ্টিমুখ — হয়ে যাক!

মিষ্টিমুখ — হয়ে যাক!

কাজের চাপে আর রোজের ব্যস্ততায় রান্নাঘরের আশেপাশে যাওয়া হয়নি বেশ অনেকদিন, আর সেই কারণে আপনাদের কাছেও ফিরে এলাম বেশ অনেকদিন পরে। যাই হোক, শীতের মরশুম, সবাই নিশ্চয় জমিয়ে পিকনিক আর খাওয়া-দাওয়া করছেন, তাই তো? আর আপনাদের মধ্যে মিষ্টিপ্রেমিক বাঙালিও আশা করি মন্দটি নেই! তাই আজ চলে এসেছি সেই সমস্ত মিষ্টিপ্রেমিকের মিষ্টিমুখ করাতে, আর সাথে নিয়ে এসেছি একটা অনবদ্য মিষ্টির রেসিপি।

আজ প্রথমেই আমরা যেটা শিখবো, তা হল “গাজরের লাড্ডু”। সবজি হিসাবে গাজর আর গাজরের হালুয়া তো আমরা প্রায় সবাই খেয়েছি, কিন্তু আজ আসুন শিখেনি কীভাবে বানানো হবে “গাজরের লাড্ডু”।

গাজরের লাড্ডু বানাতে প্রয়োজনীয় উপকরণঃ

গ্রেট করা গাজর ১ কাপ, ঘি ২ চামচ, নুন ১ চিমটে, গুঁড়ো চিনি ৩-৪ চামচ, গ্রেট করা খোয়া ক্ষীর ১/২ কাপ, কনডেনসড মিল্ক ৩-৪ চামচ, এলাচ গুঁড়ো ১/৪ চা চামচ, কেওড়া জল ১/২ চা চামচ, গোলাপ জল ১/৪ চা চামচ, কুচানো ড্রাই ফ্রুট (কাজু, কিশমিশ, আমন্ড) ১/৩ কাপ, কাজু ও আমন্ড গুঁড়ো ৩-৪ চামচ, ময়দা ১ টেবিল চামচ।

গাজরের লাড্ডু বানানোর পদ্ধতিঃ

গাজরের লাড্ডু বানাতে, প্রথমে একটা ননস্টিক প্যানে ঘি গরম বসাতে হবে। ঘি গরম হয়ে এলে তাতে গ্রেট করা গাজর ও এক চিমটে নুন দিয়ে নেড়ে ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে। গাজর সেদ্ধ হয়ে এলে তাতে গুঁড়ো চিনি আর খোয়া ক্ষীর দিয়ে ভালো মতো মিশিয়ে পাক করতে হবে যাতে অতিরিক্ত জল না থাকে।
এরপর কনডেনসড মিল্ক দিয়ে আবারও পাক করতে হবে। এবার বাকি উপকরণ, অর্থাৎ এলাচ গুঁড়ো, কুচানো ড্রাই ফ্রুট, গোলাপ ও কেওড়া জল প্রভৃতি মিশিয়ে আরও কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে, তাতে ময়দা যোগ করে আরও কিছুটা পাক দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। এবার গাজরের মিশ্রণ ঠাণ্ডা হয়ে এলে তা থেকে ছোটো ছোটো লাড্ডুর আকারে গড়ে নিয়ে কাজু ও আমন্ডের গুঁড়ো ওপর থেকে ছড়িয়ে দিলেই তৈরী “গাজরের লাড্ডু”।

এবার মরশুমি সবজি দিয়ে মিষ্টিমুখ করার অপেক্ষামাত্র। মায়েরা যারা আছেন, একটা কথা বরং তাদের কানে কানে বলে দিয়ে যাই। আপনার বাচ্চা যদি গাজর খেতে পছন্দ না করে তবে তাকে কিন্তু এভাবে সেটা খাওয়াতেই পারেন, কারণ আপনার বাচ্চার শরীরের জন্য গাজর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে আছে ভিটামিন-এ আর বিটা ক্যারোটিন। তা ছাড়া মিষ্টি মানেই তাতে আছে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট, যা আপনার বাড়ন্ত বাচ্চার জন্য খুব দরকার। তবে ডায়বেটিক পেশেণ্টদের জন্য এটা না খাওয়ারই পরামর্শ দেবো। যাই হোক, মিষ্টি বানিয়ে ফেলুন বাড়িতেই আর সবার মিষ্টিমুখ করান। আজ আমি আসি, ফিরব আরেকদিন অন্য কোনো রেসিপি নিয়ে, আর ততদিনে আপনাদের এই রেসিপি কেমন লাগলো বা আপনারা কোন পদ শিখতে চান, তা জানাতে ভুলবেন না। আজ তবে আসি, আরও জানতে সাথে থাকুন LaughaLaughi-র।

Facebook Comments Box

LEAVE A RESPONSE

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Editorial Team of LaughaLaughi