রিয়া ও রাতুল প্রতিজ্ঞা করেছিল, তারা অন্য কাউকে জীবন সঙ্গী করবে না। কিন্তু সেটা হল না, তাই রাতুল রিয়ার স্মৃতি আঁকড়ে বেঁচে আছে। হঠাৎ একদিন রিয়ার সাথে রাতুলের দেখা হল। বিয়ের পর ওকে মনে হয় আরো ভালো লাগছে, রাতুল অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলো কিছুক্ষন! লাল একটা চুড়িদার পড়েছে এবং হাতে একটা বই। রিয়ার সাথে তার কয়েকবছরপর দেখা হলো। “ওরা দুজনেই দুজনকে খুব ভালোবাসে।

রাতুল এবং রিয়া দুজনে একই কলেজে পড়তো। একদিন ক্যান্টিনে রাতুল চা নিয়ে যেই বসবে, হঠাৎ করে কাজল ও রিয়া আসছিল। তখনই ঘটে গেল অঘটন “রাতুলের হাতের চা পড়লো রিয়ার জামাতে” ও তো রেগে.. শুধু ছেলেটাকে মারেনি সেটাই বাকি, যাই হোক তারপর থেকেই আস্তে – আস্তে রিয়ার ও রাতুলের সম্পর্কটা ঘনিষ্ঠ হতে থাকলো। দুজনে দুজনের হাত ধরে প্রতিজ্ঞা করলো, কেউ কাউকে ছাড়বে না। কিন্তু..

এভাবেই কেটে গেল প্রায় বছর তিনেক। এই সুন্দর সম্পর্ক, হঠাৎ করেই শেষ হয়ে গেল। রিয়া তার প্রতিজ্ঞা রাখতে পারল না। অনেকদিন থেকেই রিয়ার সাথে, যোগাযোগ করতে পারছিল না রাতুল। কাজল,রেখা, এবং আরো কয়েকজন বান্ধবীকে জিজ্ঞেস করলো, কি ব্যাপার? কিন্তু তারাও কিছু বলতে পারল না। একদিন এক অচেনা নম্বর থেকে, একটা ফোন এলো, হ্যালো বলতেই ওপাশ থেকে বলে উঠলো-
আমাকে ক্ষমা করে দাও, আমি আমার প্রতিজ্ঞা রাখতে পারলাম না। বলেই কাঁদতে শুরু করলো। রাতুল কিছু বলার আগেই ফোনটা কেটে দিল। তারপর আর ওদের দেখা হয়নি।
এতদিন পর দেখা হতে, দুজনেই প্রথমে চুপ করে থাকলো। পরে রিয়া জিজ্ঞেস করলো, বিয়ে করেছ?
রাতুল বললো, না, আমি যে প্রতিজ্ঞা করেছি, সেটা কি করে ভেঙ্গে দেই বলো। একটা প্রশ্ন আছে তোমার কাছে, করবো? রিয়া বলল, করো। তুমি কেন এমন করলে? তখন রিয়া বললো, আমি বাবা এবং মা দুজনকেই, তোমার কথা বলেছিলাম, রাজি হয়নি।

আমি তোমার সাথে পালিয়ে বিয়ে করবো ভেবেছিলাম। সেটা বুঝতে পেরে, আমাকে ঘরে আটকে রেখেছিল। ফোনটাও নিয়ে নিয়েছিল। বিয়ের দিন, আমার এক দিদির ফোন থেকে ফোন করেছিলাম।
রাতুল বলল, আমি আমার প্রতিজ্ঞা রেখেছি, তোমাকে ছাড়া অন্য কাউকে জীবন সঙ্গী করিনি।

Facebook Comments Box

By Staff Writer

Editorial Team of LaughaLaughi

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *