পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি ভূতুড়ে স্থান নিয়ে আলোচনা করবো। ভূত কিংবা ভূতুড়ে কান্ডের সংস্পর্শী হবার ইচ্ছে কমবেশি সবার থাকে।
আজকের পর্বে কার্শিয়াং এর ডাউ হিল এর ভূতুড়ে কান্ডকারখানা নিয়ে আলোচনা করবো।
দার্জিলিং পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে অবস্থিত জেলা এবং পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে সুন্দর জায়গাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। সুন্দর জায়গাতে যখন ভূতের আবির্ভাব ঘটে তখন ব্যাপারটা আরও রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের (গুজব যাকে বলে) কথা অনুযায়ী দার্জিলিং এর কার্শিয়াং ডাউ হিল একটি ভূতুড়ে স্থান। এখানে অনেক প্যারানর্মাল অ্যক্টিভিটি দেখতে পাওয়া গেছে।
কার্শিয়াং এর ‘ভিক্টোরিয়া বয়েজ স্কুল’ আত্মার বাসস্থান বলে মনে করা হয়। স্থানীয়দের মতামত তাঁরা এখানে পায়ের চলাফেরার আওয়াজ শুনতে পান।
এমনকি যখন ডিসেম্বর থেকে মারৃচ স্কুলটি যখন বন্ধ থাকে তখনও স্কুল থেকে ভেসে আসে হাঁটাচলার আওয়াজ।
অনেকদিন থকেই ভূতুড়ে কান্ডের শিকার এই স্কুলটি।
স্কুলটির সামনের জঙ্গলে অনেক মৃতদেহ পাওয়া গেছে, যেগুলো মনে করা হয় খুন করা হয়েছে।
কিছু স্থানীয়রা মনে করেন আত্মা কিংবা ভূত তাঁদের অব্যাহতি দেবে। ভয়ে এবং শঙ্কায় তাঁদের দিন কাটে। ভূত কিংবা আত্মার শিকার হতে চাননা কেউই।
অন্যদিকে কিছু বাসিন্দা শোনা কথা এবং গুজব শুনে ভূতুড়ে কান্ড দেখিয়ে অন্যদের ভয় দেখান। বাকিরা এসব নিয়ে মাথা ঘামান না।
ট্যুরিস্ট এবং রিসার্চাররা এলাকা পরিদর্শন করে কোনোও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি, তাঁরা যা পেয়েছেন তা হলো উত্তরবিহীন অনেকগুলো প্রশ্ন!
আরোও শোনা যায়, সেখানে একটি মাথাবিহীন ছেলে দর্শকদের অনুসরণ করে। এই পথটিকে ‘ দ্য ডেথ্ রোড ‘ বলা হয়।
ছেলেটি রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে জঙ্গলের মধ্যে প্রবেশ করতেই মিলিয়ে যায়, এমনটাও শোনা গেছে।
স্থানীয়দের মুখে শোনা যায়, যে বা যাঁরা ওই মাথাবিহীন ছেলেটিকে দেখেছে, এমনকি স্বপ্নে দেখলেও তার অপচ্ছায়া থেকে অব্যাহতি পাননি তাঁদের কেউই!
এমনটাও শোনা গেছে, অনেকেই সমস্ত জায়গাতে ওই মাথাবিহীন ছেলেটার দ্বারা অনুসৃত হওয়ায় আত্মহত্যা করেছেন।
স্কুল এবং পার্শ্ববর্তী পুরো এলাকাটির পরিবেশ ভূতুড়ে এবং গা ছমছমে।
মাথাবিহীন ছেলে, গা ছমছমে হাঁটাচলার আওয়াজ, অসংখ্য মৃতদেহ এতগুলো ঘটনার ব্যাখ্যা নেই।
যদিও বৈজ্ঞানিক কোনো ব্যাখ্যা এখনোও পাওয়া যায়নি, তবুও কার্শিয়াং এ একের পর এক মানুষের মৃত্যু কিছুটা হলেও চমকে দেয়।
Leave a Reply