প্রাপ্তির ঠিকানা

প্রাপ্তির ঠিকানা ঠিক কোথায় আছে সেটা নিয়ে আমরা সকলেই খুব কৌতূহল প্রকাশ করে থাকি। আসলে প্রাপ্তির মাপকাঠি কিভাবে নির্বাচিত হয় সেটাও মাঝে মাঝে বুঝে উঠতে পারিনা।

আসলে প্রাপ্তির ঠিকানা আমরা প্রকাশ করতে পারিনা। সুখপ্রাপ্তি , সেটা সামান্য বিষয়ে কিংবা বৈষয়িক― সবক্ষেত্রেই আমরা দ্বিধাগ্ৰস্ত।

অনেক সময় এমন কিছু চিন্তা মাথায় আসে যা খুবই অকল্পনীয়। আসলে আমরা খুব কম সময়ই নিজেকে নিয়ে চিন্তা করি, জীবনের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেব মেলানোর সময়, সুযোগ বা ইচ্ছে কোনোটাই আমাদের নেই। যেখানে জীবনকে নিয়ে চিন্তা করাই বেশি জরুরী। তবে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেব মিলাতে গেলে বেশির ভাগ সময়ই দুঃখ, কষ্ট আর হতাশা চলে আসে। তখন চলার পথ আরো কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠে।

মাঝে মাঝেই নিজেকে বা নিজ জীবন-যাপনকে নিয়ে খুব বেশি ভাবনায় বসা উচিত নয়। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে―সেই সময়টা আসে সবথেকে হতাশার কিংবা ব্যর্থতার। নিজে কি পেয়েছি সেটা ভেবে কষ্ট পাওয়ার আগে এটা ভাবা উচিত নিজের জীবনের জন্য কতোটা পরিশ্রম করে চাহিদা মেটাতে পেরেছি। তাহলেই বোধহয় সব সমস্যার সমাধান।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ঘটে যাওয়া ছোট ছোট ভালো লাগায় বোধহয় আমাদের সবথেকে বেশি প্রাপ্তি দিতে পারে। আর হ্যাঁ সেটার জন্য বিশেষ অর্থ বা বাহ্যিক সৌন্দর্যের প্রয়োজন হয় না। আমাদের চারপাশে থাকা মানুষগুলোই অর্থহীন ভাবে একসাথে হেসে উঠতে সাহায্য করে অথবা সাময়িক খারাপ লাগা থেকে বার করে আনতে পারে। এটাই বোধহয় পরম প্রাপ্তি।

প্রাপ্তির ঠিকানা হয় কিনা জানিনা তবে বিপুল অর্থ কিংবা উচ্চপদস্থ ব্যক্তি ও দিনের শেষে প্রাপ্তি খুঁজতে গিয়ে সূর্যোদয় দেখার ইচ্ছায় কটাদিন ছুটি কাটিয়ে আসে। এমনও আছে কাজের সূত্রে বাইরে বের হলেও রাতে ঘরে ফেরে। প্রাপ্তি যার কাছে যেমন, অনেকেই বুঝে উঠতে পারে না ঠিক কি হলে সুখী।

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *