LaughaLaughi

You Create, We Nurture

Food and Health

সঙ্গে ঘরোয়া উপায়, তো রোগ এক্কেবারে বিদায়

জ্বর-সর্দি-কাশি খুব সাধারণ একটা রোগ। একটু সিজন চেঞ্জ হয়ে পারলো না, অমনি এসে হানা দেবে। আর কাশি হলে তো কথাই নেই। খুকখুকে কাশি হোক আর কফযুক্ত, গলার দফারফা দুটোতেই। তারপর তো এক গাদা ওষুধ লেগেই থাকে। আগে শুধু কফ্-সিরাপ খেলেই কাশি পালাতো, এখন কফ্-সিরাপে আর কাজ হয়না, সঙ্গে যুক্ত হয়েছে High Power-এর অ্যান্টিবায়োটিকস্।
…গাদা গাদা অ্যান্টিবায়োটিকস্ ছাড়া এখন আর জ্বর-সর্দি-কাশির হাত থেকে রেহাই নেই।

□যদি বলি এত ওষুধের কোনো দরকার নেই। শুধু কিছু ঘরোয়া টোটকাতেই আপনার এই গলায় ব্যথা, হালকা জ্বর, আর সর্দি-কাশি একদম সেরে যাবে।
ডাক্তারের কাছে লম্বা লাইনের দরকার নেই আর।

□আসুন দেখে নিই কি কি ঘরোয়া উপায়ে জ্বর-সর্দি-কাশি বিদায় নেবে:-

○তার জন্য অবশ্য আমাদের একদম পুরোনো দিনে বা বলা ভালো, দিদিমা-ঠাকুমাদের আমলের পন্থাকেই বেছে নিতে হয়।

■এবার দেখা যাক টোটকা গুলো:-

●1. কাঁচা হলুদ বাজারে সবসময়ে সব জায়গাতেই পাওয়া যায়, এটি কিন্তু একদম রোগ নির্মূল করতে একদম ব্রহ্মাস্ত্র। তাই কাঁচা হলুদ বাড়িতে রাখা চাইই চাই।
…হালকা জ্বর বা ভাইরাল ফিভার হয়েছে বুঝলেই, রাতে ডিনারের পরে এক গ্লাস গরম দুধে কাঁচা হলুদ একটু থেতো করে দিয়ে খাবেন, অবশ্যই স্বাদ মতো হলুদ থেতো করে দেবেন।
○আবারও বলছি বাড়ির গুঁড়ো হলুদ না, কাঁচা হলুদ ব্যবহার করবেন। হলুদ অনেকেরই অপছন্দ, তাই স্বাদ মতো দুধে দেবেন, যতটা আপনি খেতে পারবেন।
○তবে আর কি! জ্বর-সর্দি-কাশি হানা দিলেই, রাতে ডিনারের কিছুক্ষণ পরে গরম দুধে কাঁচা হলুদ থেতো করে দিয়ে এবং ভালভাবে গুলে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন।
মাত্র দু-তিনদিন খেলেই সব রোগ ভ্যানিশ।

●2. এই টোটকা-টা ভীষণ কাশির জন্য। যাদের ভীষণ কাশির ধাত, অল্প ঠান্ডাতেই যাদের কাশি হয় তাদের জন্য।
…হাফ কাপ ঈষৎ উষ্ণ গরম জলে হাফ চামচ মধু দিয়ে খাবেন। রাতে ডিনারের পরে এবং ঘুমানোর আগে।
এটা ভীষণই উপকারী। পুরোনো কাশিও সারিয়ে দেয়।
○মধু আমাদের সবার বাড়িতেই থাকে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। অতএব এবার থেকে কাশিতে না ভুগে এই টোটকাটি Try করবেন এবং just কয়েকদিনেই সুস্থ হয়ে উঠবেন।

●3. শেষ টোটকা, যেটা আমাদের সকলেরই করা উচিত, তা হলো নিজের যত্ন।
প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি আর ফল খাবেন। সময় মতো স্নান-খাওয়া করতে হবে।
○মরশুমি ফল মানে সিজনের ফল অতি অবশ্যই খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ফলে আমরা সিজন চেঞ্জের সময় কম অসুস্থ হবো।

●গাদা গাদা ডাক্তার না দেখিয়ে উপরিউক্ত টোটকা গুলো প্রয়োগ করবেন, দেখবেন কেমন চটজলদি সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাও আবার ওসব তেঁতো ওষুধ না খেয়েই।
…তবে আর কি, ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করুন মাঝে মাঝে আর হয়ে উঠুন একদম Fit & Fine, সে যতই সিজন চেঞ্জ হয়ে চোখ রাঙাক।
আজ এই অবধিই। সুস্থ থাকুন।

Facebook Comments Box

LEAVE A RESPONSE

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Editorial Team of LaughaLaughi