আগামী ৬ ই আগস্ট ২০২১ এক ঝাঁক প্রখ্যাত ও প্রতিভাবান অভিনেতাদের দেখতে পাওয়া যাবে এই সিরিজটি তে। এটি অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত ও সৃজনী মিত্রের প্রথম ওয়েব সিরিজ।
কালিম্পং ক্রাইমস মূলত একটি সিনেমা তৈরির শুটিং-এর গল্পের প্রেক্ষাপটে, অন্তর্নিহিত আর একটি ‘গল্প’। রোমহর্ষক ষড়যন্ত্র, ধারাবাহিক খুন ও তার সুত্র অনুসন্ধান মূলক সিরিয়াল কিলিং- এর তদন্ত কাহিনী। গল্পের সূত্রপাত, একটি সিনেমার শুটিং দলের কালিম্পং পৌঁছানো নিয়ে। মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যে ঘেরা কালিম্পংয়ের কুয়াশাচ্ছন্ন ডেলো’তে একটি পুরানো ব্রিটিশ ট্যুরিস্ট লজ গল্পটির প্রাণকেন্দ্রে। যেখানে প্রখ্যাত অভিনেতা এবং কলাকুশলী সহ একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা ইউনিট এসে পৌঁছায়। আর সেখানেই একে একে মূল গল্পের বিভিন্ন চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ কৌতূহলজনকভাবে চোখে পড়ে ।
এই দলে ২ জন নায়িকা, একজন লম্পট প্রযোজক, প্রযোজকের এক বদবখাটে ভাই, একজন কেতাদূরস্ত নায়ক, একজন বেপরোয়া সিনেমাটোগ্রাফার, একজন বদ-মেজাজী পরিচালক, একজন ম্যানেজার, একজন স্ক্রিপ্ট লেখক, একজন খলনায়ক ও ২ জন সহকারী পরিচালক রয়েছেন, যাদের চরিত্র এবং বৈশিষ্ট্যগুলি একে একে গল্পে দেখানো হয়। এরই সাথে এক বিচিত্র ডাক্তার রায়চৌধুরী এসে ডেলোয় পৌঁছন, যার পুরোনো দিনের অস্ত্র সংগ্রহের একটি বিশেষ শখ রয়েছে।
নায়ক রাহুল’কে গল্পের ভেতরে তৈরি হওয়া ছবির দুই অভিনেত্রীর সাথে, আমরা পৃথক সময়ে ঘনিষ্ট কীর্তিকলাপে লিপ্ত হতে দেখতে পাবো। প্রযোজক দয়াল এবং সায়রা নামে একজন অভিনেত্রীর মধ্যেও কুৎসিত বিবাদ শুরুর আভাস দেখতে পাওয়া যাবে, যেখানে প্রযোজক তার উপর যৌন নির্যাতন করতে উদ্যত হন।
এরপরেই দুই নায়িকা, মল্লিকা এবং সায়রা আক্ষরিক অর্থেই একে অপরকে তীব্র হুমকি দিতে থাকেন। তাদের দুজনের প্রেম বা ঘৃণার ব্যাক্তি কি এক?
সেই রাতেই সায়রা এক ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হয়। ঘটে যায় তার অস্বাভাবিক মৃত্যু। যদিও স্থানীয় পুলিশ প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনাটিকে একটি আত্মহত্যার মামলা হিসাবে তুলে ধরে। আর হটাৎ করেই এই অপরাধের ঘটনাস্থলে, নিহারিকা সেন নামে একজন গোয়েন্দার আবির্ভাব হয়। এবং তিনি পুনরায় এই হত্যা মামলার তদন্ত শুরু করেন। জমে ওঠে গল্পের প্লটটি । আশঙ্কাজনক ভাবে বোঝা যায় যে, ইউনিটের যে কেউ, আততায়ীর পরবর্তী শিকার হতে পারে!
পুলিশের উদ্যোগে পুনরায় এই ফাইল খোলার নির্দেশ অনুযায়ী, একজন বিশেষ তদন্তকারীকে এই মামলায় নিযুক্ত করা হয়। একজন প্রখর বুদ্ধি সম্পন্না মহিলা সিআইডি অফিসার – সায়নী ব্রহ্ম। যিনিও পুনরায় এই পরিকল্পিত অপরাধের তদন্ত শুরু করেন। ক্রমে এই মহিলা অফিসার শীঘ্রই বুঝতে পারেন যে আসলে নিহারিকা একজন ‘ভুয়ো গোয়েন্দা’। আর এই তথ্য সামনে আসার পর গল্পটি ষড়যন্ত্রের দিকে আর একধাপ এগিয়ে যায়। কিন্তু অভিনেত্রী সায়রার বীভৎস হত্যার তদন্তের জন্য নিহারিকার আসল পরিচয় লুকোনোর উদ্দেশ্য কি? এই মহিলা কি আদৌ একজন গোয়েন্দা? সোশ্যাল মিডিয়ায় সে কী এমন দেখে যে তড়িঘড়ি ‘সায়রা হত্যা তদন্ত’ করতে ছুটে আসে?
নিকটবর্তী নদীতে একটি ভাসমান মৃতদেহ হিসাবে ডাক্তারের লাশ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় পুরো ইউনিটের সবাই ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। সিনেমাটোগ্রাফার বুবাই রাতের অন্ধকারে সন্দেহজনকভাবে ঘুরে বেড়ায়। এদিকে প্রযোজকের ভাই দেবের বিরক্তিকর এবং বিকৃত আচরণগুলি এক প্রকারে তাকে মূল সন্দেহভাজন বলে চিহ্নিত করে ফেলে। সেই সাথে সে পলাতক হয়ে যাওয়ায়, প্লটটি অন্যদিকে মোড় নেয়। সন্দেহ ও পাল্টা সন্দেহে – গল্পের প্রতিটি চরিত্রেরই ‘সন্দেহজনক উদ্দেশ্য’ রয়েছে বলে মনে হতে থাকে।
এমনকি প্রযোজককেও রহস্যজনকভাবে হত্যা করা হয়। আর এই মৃত্যুর পর মূল সন্দেহর আঙুল ক্রমে এক চরিত্র থেকে অন্য চরিত্রের দিকে ঘুরে যায় । যা ক্রমে দর্শকদেরকে কয়েকটি চূড়ান্ত প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করায়। সায়নী ব্রহ্ম কি “বেশ কিছু সম্ভাব্য সন্দেহভাজন” এবং “বেশ কয়েকটি হত্যার রহস্য”র সঠিক তদন্ত করতে সক্ষম হবেন? কেনই বা এই ধারাবাহিক হত্যাগুলি ঘটেছে? কে, বা কারা এই ভয়াবহ হত্যার ষড়যন্ত্র করছে? এই সমস্ত মৃত্যু কী কোনো ভাবে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত? কেন এই কণ্ঠস্বরগুলিকে চিরকালের জন্য নীরব করা হয়েছিল? আততায়ীর অশুভ উদ্দেশ্যগুলি কী? এই ঠান্ডা মাথায় হত্যা করার জন্যে কেনই বা পার্বত্য শহর কালিম্পংয়ের শান্ত পরিবেশকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল?
এই সমস্ত বিস্ময়কর প্রশ্নের উত্তর জানতে, কালিম্পং ক্রাইমসের প্রতিটি পর্ব দেখতে হবে! যা কালিম্পংয়ের কুয়াশাচ্ছন্ন পর্বতমালা এবং অপূর্ব সুন্দর তিস্তা নদীকূলে চিত্রায়িত।
গল্পটির ধারাবাহিকতা আর রহস্যের টান টান উত্তেজনা দর্শকদের আশা রাখি শেষ পর্যন্ত আকর্ষীত করবে।
পরিচালক – তপন সাহা (Tap’s)
মূখ্য সহকারী পরিচালক –
অনিমেষ তরফদার
সহকারী পরিচালনার টীম – রূপক দাস, রাজ সরকার ও রাজ কুমার বর্মন
সিনেমাটোগ্রাফার – অঙ্কিত সেনগুপ্ত
গল্প ও চিত্রনাট্য – অমিতাভ ভট্টাচার্য
এডিটর – কৌস্তুভ সরকার
পোশাক – মেঘা চক্রবর্তী
বি.টি.এস এবং ফটোগ্রাফি : পার্থ প্রতিম ব্যানার্জি এবং রানা বসু ঠাকুর
উল্লেখযোগ্য কাস্ট
দেবলীনা দত্ত (সিআইডি তদন্তকারী সায়নী ব্রহ্ম)
অর্জুন চক্রবর্তী (ডাক্তার রায়চৌধুরী)
পায়েল মুখার্জি (নায়িকা সায়রা)
সৃজনী মিত্র মুস্তাফি (নায়িকা মল্লিকা)
ত্রম্বক রায়চৌধুরী (নায়ক রাহুল)
রানা বসু ঠাকুর (সিনেমাটোগ্রাফার বুবাই)
রাহুল বর্মন (প্রযোজক দয়াল)
ইন্দ্র(প্রযোজকের ভাই দেব)
ইন্দ্রনীল ব্যানার্জি (লেখক)
সুমন্ত মুখার্জি (নায়ক শেখর)
দেব কুমার মিত্র (পরিচালক পুলক)
বান্টী গোস্বামী (প্রোডাকশন ম্যানেজার বলরাজ)
অমিত শ্রীমণি (পুলিশ অফিসার)
পাপিয়া শেঠ (রিসেপসনিস্ট)
অশোক চৌধুরী (কন্ট্রাক্ট কিলার ইকবাল)
রাজ কুমার বর্মন (সহকারী পরিচালক)।
সহেলী মজুমদার (সহকারী পরিচালক)
The vibrant city of Kolkata is set to host an extraordinary musical event as renowned Indian music…
In a heartwarming ode to friendship and the unifying spirit of Pujo, SVF Brands has…
The year 2024 has not been what I had planned so far. Everything went downhill.…
Following the resounding success of the inaugural edition, SVF Musicproudly announces the arrival of the…
Amidst ongoing speculations regarding the leading lady opposite Shakib Khan in the upcoming film 'Toofan',…
This article originally appeared in DC Journal: https://dcjournal.com/why-does-a-rich-chicago-law-firm-keep-suing-indian-tribes/ Why does a deep-pockets Chicago law firm keep…
This website uses cookies.