অতিমারির করাল গ্রাস থেকে পৃথিবী একটু একটু করে সুস্থ হয়ে উঠছে। চেনা ছন্দে ফিরছে পরিচিত পরিবেশ, পরিচিত মানুষজন। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আবার খুলেছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এর দরজা। স্কুলের ঘণ্টার আওয়াজ আবার শোনা যাবে নতুন করে। শূন্য পরে থাকা ক্লাসরুম গুলো কলকল শব্দে ভরে উঠবে আবার। ছাত্রছাত্রীরা তাদের পুরনো পৃথিবীতে ফিরছে। টিভিতে, নিউজপেপার সবেতে তাদের হাসিমুখ দেখে ফিরে গেলাম সেই স্কুলের দিনগুলোতে।
খুনসুটি, দুষ্টুমি, বন্ধুদের সাথে টিফিন ভাগ করে খাওয়া, চার দেওয়ালের মধ্যে থেকেও নিজের মত আনন্দ খুঁজে নেওয়া, প্রথম স্টেজ পারফরমেন্স, দিদিমণিদের স্নেহ ভরা শাসন.. জীবনের সবথেকে সেরা মুহূর্তগুলো বোধহয় স্কুললাইফেই পাওয়া যায়। জীবনের ব্যস্ততা যত বাড়তে থাকে, তত ফিরে যেতে ইচ্ছে করে ক্লাসরুমের ওই বেঞ্চগুলোতে যেখানে কিছু সোনালী স্মৃতি পড়ে আছে। তখন হয়ত মাঝে মাঝে মনে হতো স্কুল পেরিয়ে গেলেই বুঝি জীবনের আসল আনন্দ, কিন্তু যত বসন্ত বাড়তে থাকে, কঠিন বাস্তবের ঘেরাটোপে আটকে মনটা বারবার ছেলেবেলার ওই দিনগুলোতেই ফিরতে চায়। এখনকার বাচ্চাদের শৈশব অনলাইন ক্লাসেই বন্দী। করোনার ছোবলে জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো ওদের মুঠোফোনে বা কম্পিউটারের স্ক্রীনে আটকে। ছোট ছোট বাচ্চাদের কোলাহলে আবার প্রাণ ফিরে পাক স্কুলগুলো। বাচ্চারা খুব তাড়াতাড়ি তাদের হারানো শৈশবে ফিরে আসুক এই আশাই করি।
জীবনের এই পর্যায় দাঁড়িয়ে মাঝে মাঝে মনে হয় পিৎজা, বার্গারের যুগে ছোটবেলার বারোভাজা, আলুকাবলীর দিনগুলোই মনে হয় শ্রেষ্ঠ ছিল।