ইমোজি-এর ইমোশান

“মা খেতে দাও,আর সাথে একটু চা বানিয়ে দিও। মাথাটা খুব ধরে আছে”, সুমি বলল। “হ্যাঁ রে সুমি,পোস্ট মর্টেমের জন্যে নিয়ে গেছে প্রনয়ের বডিটা?” সুমির মা বলল। “হ্যাঁ”,সুমি উত্তর দিল। “আমি জানি তুই ঠিক নেই,আমায় নিজের মনের কথা বলে হালকা হ একটু”,সুমির মা বলল। “তার দরকার নেই। মনের কথা আজকাল বেশি ইমোজি তেই প্রকাশ করা হয়।যাকগে বাদ দাও,আমি নিজেই ঠিক হয়ে যাব”,এই বলে সুমি নিজের ঘরে চলে গেল।

 

-কি খবর ?

-ম্যাডাম,আবার একটা খুন হয়েছে। যে ছেলেটার কিছুদিন আগে খুন হল। তার‌ই ক্লাসের আরেকজন ছাত্রীর খুন হয়েছে আজ।

-কিভাবে হয়েছে ?

-আগেরটার মত এক‌ইভাবে। গলার নলি কেটে,আর হাতে একটা চিন্হ আঁকা।

-ওদের ফ্রেন্ড সার্কেলের প্রত্যেককে থানায় ডাকো। একসাথে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করার আছে।

 

-হ্যালো আমি ইন্সপেক্টর কাবেরি সান্যাল। এই ছবি দুটো দেখোতো তোমরা(দুটো ছবি দেখিয়ে)। এইটা প্রনয়ের হাতে আঁকা ছিল। আর এটা অনামিকার হাতে। এই চিন্হগুলো কিসের জানো ? চেনো এগুলো ?

-(কিছুক্ষন দেখার পর‌ একজন বলল)ম্যাম দেখেতো মনে হচ্ছে ইমোজি।

-কি ?

-হ্যাঁ। তবে ভালোভাবে স্পষ্ট আঁকা নেই। তাই শিওর ন‌ই।

-ওগুলো আঁকা নয়,ছুরি দিয়ে খোদাই করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমার মনে হয় এটা সিরিয়াল কিলিং। তোমরা এখন যাও দরকার পড়লে ডাকা হবে। আর হ্যাঁ একটু সাবধানে থাকবে কিছুদিন সবাই।

 

“কি ব্যাপার বলত, কি হচ্ছে এসব ?”, সুমি বলল। “জানি না। তবে যা মনে হচ্ছে যে করছে এসব সে আমাদের গ্রুপটাকে টার্গেট করেছে। কারন এইভাবে এক ক্লাসের পরপর দুজনের খুন। সেটা নিতান্ত‌ই কাকতালীয় হতে পারে না”,রিষভ বলল।

“কিন্তু কেন করছে, তার মোটিভ কি। আর ইমোজি খোদাই কিসের জন্যে”? পালক বলল। “সেটা খুঁজে বের করা তো পুলিশের কাজ। ওদেরকে ওদের কাজ করতে দে,এখন ঘরে চল”,আকাশ বলল। “আয়ূষ এল না কেনরে ?” আকাশ আবার বলল। “ওর শরীরটা ভালো নেই,ও পরে আসবে বলেছে”,বলল পালক।

(ফেসবুকের একটা পোস্ট)

“তোমার কিবোর্ডের থার্ড ইমোজিটা কমেন্ট করো। সেটা নির্ধারন করবে তোমার মৃত্যুতে সবাই কিভাবে রিএক্ট করবে”।

-ম্যাডাম,আপনি এই পোস্টটা বারবার দেখছেন কেন?

-এই পোস্টটায় কিছু গন্ডগোল আছে। যাকগে ওই ছেলে মেয়েগুলোকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলে ? কি জানতে পারলে ?

-যে এই পোস্টটা শেয়ার করেছে তার নাম সুমি হালদার। সে প্রনয়ের খুব‌ই ঘনিষ্ঠ ছিল,প্রেমিকাও বলতে পারেন। তাদের সম্পর্ক খুব‌ই ভালো ছিল,বাকি বন্ধু আর ওর মা এর সাথে কথা বলে যা জানতে পারলাম। আর পালক হচ্ছে সুমির বেস্ট ফ্রেন্ড,ওরা স্কুল থেকেই একসাথে আছে। আয়ূষ হচ্ছে পালকের প্রেমিক,আর হচ্ছেন প্রনয়ের‌ বেস্টফ্রেন্ড‌ও। আয়ূষ কলেজের সব থেকে পপুলার বয়,আঁকায় অত্যন্ত ভালো। ইন্টিরকলেজ আর্ট কম্পিটিশানে গত তিন বছর ধরে ফার্স্ট হয়ে আসছে। আকাশ আর রিষভ দুই জাঠতুতো-খুড়তুতো ভাই,রিষভ আকাশের থেকে তিনমাসের ছোটো। দুই ভাই এর সম্পর্ক খুব‌ই ভালো। আর অনামিকার সাথে রিষভের সম্পর্ক ছিল। এই হচ্ছে পুরো গ্রুপটার মোটামুটি একটা ডিটেল। বাকি ফাইলে রাখা আছে। আর ক্লাসের বাকি যারা আছে,তাদের সাথেও কথা হয়েছে। কিন্তু তাদের সাথে প্রনয় আর অনামিকা খুব একটা মিশত না।

-থ্যাঙ্ক ইউ,পাটেল। তুমি এখন এসো।

 

(কিছুদিন পর)

-এই পোস্টে যারা যারা কমেন্ট করেছিল তাদের মধ্যে থেকে প্রনয়,অনামিকা আর এখন রিষভ আর পালক মৃত, কিছু তো ব্যাপার আছে এই পোস্টটায়।

-আপনি কি করে এতটা শিওর হচ্ছেন ম্যাডাম?

-কারন এই পোস্টে প্রনয় আর পালক হার্টব্রোকেন এর ইমোজি কমেন্ট করেছিল। আর প্রনয় আর পালকের হাতেও সেটার ছবি এঁকেছে মার্ডারার। আর তার থেকেও বড় কথা প্রনয়ের সাথে সুমির সম্পর্ক ছিল। আর পালকের সাথে আয়ূষের সম্পর্ক ছিল। পালক আর প্রনয় দুজনেই মৃত। কিন্তু দুজনের‌ই সঙ্গী জীবিত। পোস্ট অনুযায়ী আর ওদের কমেন্ট অনুযায়ী মৃত্যুর পর বিচ্ছেদের যন্ত্রনা পাওয়ার কথা সুমি আর আয়ূষের। তাহলে কি কেউ সুমি আর আয়ূষকে বিচ্ছেদ যন্ত্রনা ভোগ করানোর জন্যে এটা করেছে ?

-তাহলে ম্যাডাম,অনামিকা আর রিষভ এর ব্যাপারটা ?

-ওরা দুজনেই লাভ কমেন্ট করেছিল। ওদের ব্যাপারটা আমার এখোনো মাথায় ঢোকেনি। তবে খুনির প্যাটার্নটা বুঝতে পারছি। পোস্টে যে যেমন ইমোজি কমেন্ট করেছে সেই অনুযায়ী তাদের প্রিয়জনকে ফিল করানো। তাই সুমিকে খারাপ লাগানোর জন্যে প্রনয়কে খুন। আর আয়ূষকে খারাপ লাগানোর জন্যে পালককে খুন। কে জানে কে ওর নেক্সট টার্গেট। তবে আমি বুঝতে পারছি না যে খুনি এভাবে নির্দোষ লোকেদের কেন মারছে ?

-কিন্তু ম্যাডাম সুমির প্রোফাইলে তো পোস্ট প্রাইভেসি মারা। ফ্রেন্ড ছাড়া কেউ কমেন্ট করতে পারবে না। আর দেখতেও পাবে না।

-এগ্জ্যাক্টলি,মানে খুনি সুমির ফ্রেন্ডদের মধ্যে পড়ে। তুমি সাইবার সেলে খবর দাও। যে প্রোফাইল থেকে অ্যাকচুয়ালি পোস্টটা শেয়ার হয়েছে সেটা ফেক। তুমি ফেক প্রোফাইলটার সোর্শের খোঁজ লাগাও।

-ওকে ম্যাডাম।

(কিছুক্ষন পর)

-ম্যাডাম খবর পাওয়া গেছে। যে মোবাইল থেকে ফেক আইডিটা ইউজ হয়েছে সেটা স্যামসাঙ কম্পানির।

-ভেরি গুড। কলেজে যতজন স্যামসাঙ এর ফোন ইউজ করে তাদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করো। আর সুমির ফ্রেন্ডলিস্টে যারা আছে তাদের সবার ডিটেল আমার চাই।

 

(পিঠচাপড়ে)”ভাই নতুন ফোন কিনলি?”,বিক্রম জিজ্ঞেস করল। “হ্যাঁ,এবার ছাড় তাড়ায় আছি আমি”,হাতটা কাঁধ থেকে সরিয়ে নিয়ে রিষভ বলল। “কিরে বিক্রম এখানে দাঁড়িয়ে কি করছিস ?”,পাশ থেকে একজন জিজ্ঞেস করল। “না কিছু না চল”,বলল বিক্রম। “এই আজকে কলেজে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসবে ওই সিরিয়াল কিলিং গুলোর ব্যাপারে। চল তাড়াতাড়ি নিচে,ওই পর্ব মিটিয়ে তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে পারলে বাঁচি”।

 

-স্টুডেন্টস সবাই একটু আমাদের সাথে কো-অপারেট করো প্লিজ। বাইরে খুব ভয়ংকর একজন সিরিয়াল কিলার ঘুরছে। আজ তোমাদের বন্ধু প্রনয়,পালক,অনামিকা,রিষভ বিনা দোষে প্রাণ হারিয়েছে। এরকম যেন আর কারো সাথে না হয় তার জন্যে প্লিজ সবাই একটু আমাদের কো-অপারেট করো।

-ইন্সপেক্টর!!

-হ্যাঁ বলো।

-রিষভ‌ও খুন হয়েছে ?

-হ্যাঁ,কেন?তোমার নাম কি?

-আমি বিক্রম। স্যর আমি যে একটু আগে রিষভকে কলেজে দেখলাম ?

-হোয়াট?‌ইম্পসিবল!তুমি মুখ দেখেছিলে ?

-না,আমি মুখ দেখতে পাইনি। রিষভের একটা হুডি আমি চিনি,হয়ত অন্য কেউ ছিল। ওই হুডিটা পরেছিল।

-এভরিওয়ান ইজ অর্ডার্ড নট টু লিভ দিস রুম এন্ড টেল সিকিউরিটি টু ক্লোজ এভরি ডোর অফ দ্য কলেজ। ম্যাডাম প্লিজ পিক আপ দ্য ফোন।

 

-হে,এত তাড়া কিসের যাওয়ার ? পুট ইয়োর হ্যান্ডস আপ আকাশ। এন্ড রিমুভ ইয়োর ক্যাপ,‌আই নো হু ইউ আর।

-আপনি বুঝলেন কি করে ?

-সেটা থানাতেই বলব। ইউ আর আন্ডার অ্যারেস্ট।

-হ্যালো পাটেল!!ফোর্স নিয়ে কলেজের গেটে এসো জলদি। আমাদের ইমোজি কিলার ধরা পড়েছে।

 

-হ্যাঁ,এবার বলো দেখি পুরো ঘটনাটা খুলে। কেন এসব করলে তুমি?আমি যদিও জানি,কিন্তু তোমার বন্ধুদের জানার খুব দরকার।

-আমার বাবা নেই। আমি তখন মাধ্যমিক দিচ্ছি,আমি একদিন ফেসবুকে একটা পোস্ট দেখি। তাতে লেখা,”যদি এই পোস্টটি শেয়ার না করো তাহলে তোমার মা মারা যাবে”। আমি যথারীতি সেটা বিশ্বাস করিনি। পোস্টটায় একটা হাহা ইমোজি রিএক্ট করে বেরিয়ে যাই। আর তার ঠিক দুদিন পরেই আমার মা মারা যায়,হার্ট অ্যাটাকে। তারপর থেকে আমার নিজেকে খুনি মনে হতে থাকে। আমি ভুলভাল বকতাম,সবাই আমায় পাগল ভাবত। আমার কাকারা আমার ওই নিজেকে দোষী ভাবনাতে আর‌ও ইন্ধন দিত। আমায় পাগল বলে অ্যাসাইলামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তারপর আমায় ফিট দেখে ওখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়ি ফিরে দেখি বাড়ি বিক্রি করে কাকারা চলে গেছে,তারপর একদিন জানতে পারলাম যে আমার কাকারা সম্পত্তি হাত করবে বলে আমার মা কে খুন করেছে। আর আমি যাতে সম্পত্তির ভাগ না পাই তার জন্য আমায় পাগল সাজিয়েছে। রোজ মা এর খাবারে একটা অষুধ দিত ওরা। যাতে একটু একটু করে মা এর হার্ট খারাপ হতে থাকে। আর আমার কাকরা মিলে ফেসবুকে ওই পোস্টটা একটা ফেক আইডি দিয়ে পোস্ট করে। আর সেটাই আমার মা এর মৃত্যুর দুদিন আগে আমার কাছে আসে। আসে বলা ভুল, ইচ্ছাকৃত ভাবে আনানো হয়। আমি নিজের চেষ্টায় উচ্চমাধ্যমিক পাশ করি অনাথ‌আশ্রমে থাকতাম। স্কলারশিপ নিয়ে কলেজে অ্যাডমিশন নিই। এখানে এসে দেখি রিষভ‌ও পড়তে এসেছে এখানে। রিষভ আমার কাকার ছেলে। ওকে আমার প্রাণের থেকেও বেশি ভালোবাসতাম। যত‌ই আমার কাকারা আমার সাথে যাই করুক না কেন। কিন্তু তারপর দেখলাম আমার যে মেয়েটাকে পছন্দ তাকে রিষভের‌ও পছন্দ। ওরা ডেট করছে। আমার পুরোনো সব কিছু যা কাকারা করেছিল মনে পড়ে যেতে লাগল। আমি যাকেই ভালোবাসি তাকেই আমার থেকে কেড়ে নেওয়া হয়। আমার মাথাটা যেন কিরকম হত,কাউকে সহ্য হত না। কেউ ভালো আছে নিজের লোককে নিয়ে সহ্য করতে পারতাম না। ওইজন্য আমি ঠিক করলাম এইভাবে প্রতিশোধ নেব। আমি ফেক আইডি খুলে ওই পোস্টটা শেয়ার করলাম। প্রনয়কে মেরে সুমিকে কষ্ট দিয়েছি। প্রনয় যদি অন্য ইমোজি দিত তাহলেও ওকে মরতে হত। যারাই কমেন্ট কর‌ত তাদেরকেই মরতে হত। শুধু যে ইমোজিটা দিত সেই হিসেবে মারতাম তাকে। পালকেও এক‌ই ভাবে মেরেছি। হার্টব্রোকেনের ইমোজি দিয়েছিল দুজনেই। দেখ কেমন লাগে এবার। অনামিকাকে আমি ভালোবাসতাম,আর রিষভকেও ওদের মারতে চাইনি। কিন্তু ওরা কমেন্ট করেছিল। তাছাড়া ওদের প্রেমটা আমি আমার সামনে সহ্য করতে পারতাম না। তাই ভাবলাম মেরেই দিই। মরে গিয়ে অন্তত ওরা একসাথে থাকুক। ওদের উপকার করেছি ইন্সপেক্টর। হাহাহাহাহা।

-তোমার সাথে যেটা হয়েছিল সেটা খুব‌ই খারাপ। কিন্তু তাই বলে কিছু নির্দোষের প্রাণ নেওয়ার অধিকার তোমার নেই। পাটেল,ওকে লক আপে ঢোকাও। সুমি,আয়ূষ তোমরা বাড়ি যাও।

আর‌ও পড়ুন: কলকাতা, সুন্দরী তিলোত্তমা

-কিন্তু ম্যাডাম আপনি কি করে বুঝলেন যে আকাশ‌ই কিলার?

-তুমি একটা ফাইলে সবার ডিটেলস গুলো দিয়েছিলে। তাতে দেখলাম আকাশের বার্থ সার্টিফিকেট মিসিং। সবার আছে কিন্তু ওরটা নেই। আমার খটকা লাগল,আমি কলেজে গিয়ে খোঁজ নিলাম। জানতে পারলাম ওর মা মারা যাওয়ার পর ও অনাথ‌আশ্রমে এ থাকত। তারপর সেখানে গিয়ে খোঁজ নিলাম। জানতে পারলাম ওর মা বাবার বিশাল সম্পত্তি ছিল এই এলাকায় কিন্তু মারা যাওয়ার পর কাকারা বেচে দিয়েছে প্রপার্টি। কিন্তু ওরা বলতে পারল না যে ওর মাএর মৃত্যুর পর আকাশের কি হয়েছিল। আমি আকাশের হস্টেলের গার্ডের কাছ থেকে চাবি নিয়ে ওর রুমটা সার্চ করে ওর অ্যসাইলামের মেডিক্যাল রিপোর্ট গুলো পাই। আমি অ্যাসাইলামে গিয়ে খোঁজ নিয়ে ওর সাথে হ‌ওয়া ঘটনাটা জানতে পারি। মানে ওই ফেসবুকের পোস্টের ব্যাপারটা। তখন আমি বুঝতে পারি যে এটা আকাশ হলেও হতে পারে। কিন্তু আমি পুরোপুরি শিওর হতে পারিনি। তারপর আমি ওদের ক্লাসের আর‌ও কিছু ছেলেমেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারি যে আকাশের মাঝে মাঝেই ফেসবুকে মেয়েদের হ্যারাস করত। একদিন অনামিকার ফোন চেক করার সময় আকাশের চ্যাট খুলে দেখি ও অনামিককে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। অনামিক মানা করে দেয়। এখানেই আমি সব ঘটনা গুলোকে মেলাতে পারছিলাম। আর সেইজন্যেই আমাদের ইমোজিম্যানকে ধরার জন্যে ওনার‌ই ফাঁদ পাতি। আমি একটা ফেক আইডি খুলে ওর পোস্টে ইমোজি কমেন্ট করি। আর এদিকে তোমাদের বলি যে আকাশের ফেক আইডি এর সোর্শ খুঁজতে। তুমি যখন বললে যে ওটা স্যামসাঙ এর ফোন থেকে করা তখন আমি একদম শিওর হয়ে গেলাম। কারন আকাশকে আমি স্যামসাঙ এর ফোন ইউজ করতে দেখেছি। তো ও আমার ওই কমেন্ট টা দেখে আমার খোঁজ করতে থাকে। আমি ফেক আইডিটা ওদের ক্লাসের‌ই একজনের নামে খুলেছিলাম। ও আজকে এসেছিল তাকে মারতে। কিন্তু এদিকে তোমাদের আমি ভলে দিই যে কলেজে যাদের যাদের স্যামসাঙ এর মোবাইল আছে তাদের জেরা করতে। আর তোমাকে বেশি ফোর্স নিয়ে যেতে বলি। এবার বুঝেছো কেন ফোর্স আনতে বলেছিলাম ? যাই হোক বাকিটা তুমি জানো। আমার গাছটি ফুরোলো নটে গাছটি মুরোলো।

-উফফফ্ ম্যাডাম আপনি সেরা! তাহলে আজকে বিরিয়ানি পার্টি হবে।

Facebook Comments Box
Staff Writer

Editorial Team of LaughaLaughi

Recent Posts

Anupam Roy’s ‘Aami Sei Manushta Aar Nei’ is a Musical Masterpiece

In a spectacular celebration coinciding with the birthday of the iconic actor Prosenjit Chatterjee, the…

3 days ago

অনুষ্কা পাত্রর কণ্ঠে শোনা যাবে দে দে পাল তুলে দে

হিমেশ রেশামিয়ার পর সুরাশা মেলোডিজ থেকে অনুষ্কা পাত্রর নতুন গান পুজো আসছে মানেই বাঙালির নতুন…

1 week ago

Srijit Mukherji’s Dawshom Awbotaar is On a Roller Coaster!

The highly awaited trailer of grand Puja release, "Dawshom Awbotaar", produced by Jio Studios and…

1 week ago

আসছে Klikk Originals NH6 ওয়েব সিরিজ

আসছে Klikk Originals এর আগামী ওয়েব সিরিজ। জন হালদার এর প্রযোজিত ও পরিচালিত রোমহর্ষক থ্রিলারNH6…

1 week ago

Jeet Unveils the First Look of Manush

On the auspicious occasion of Ganesh Chaturthi, Bengal's Superstar Jeet Unveils the First Look of…

2 weeks ago

Pokkhirajer Dim Gears Up for an Enchanting Journey

'Pokkhirajer Dim' Gears Up for an Enchanting Journey with Jio Studios and SVF Entertainment We…

2 weeks ago

This website uses cookies.