“আমি পাই না ছুঁতে তোমায়…”
ভিডিও কলের স্ক্রীনটায় হাত বোলাচ্ছিল অনু, ততক্ষণে ফোনের ওপারে সৌর ঘুমিয়ে পড়েছে।
সৌরকে ঘুমন্ত অবস্থায় বড্ড ছেলেমানুষ লাগে… এসব ভাবতে ভাবতে অনুরও চোখ বন্ধ হয়ে এলো নিজের অজান্তেই!
অনু মানে অনন্যা, আর সৌরভের জীবনের প্রতিদিনের অঙ্গ এটা। ওদের মধ্যেকার ভৌগোলিক দুরত্ব কয়েক হাজার মাইল হলেও মনের দুরত্ব ওই প্রোগ্রামিং এর null character এর মতো।
তাই বলা বাহুল্য নটিংহাম শহরটাকে অনু চিনেছে সৌরর চোখ দিয়ে, আর সৌর বদলাতে থাকা কলকাতাকে বুকের মধ্যে এঁকে রাখে অনুর কথার জাদুতে।
ওদের সম্পর্কটা বেশ নতুন, তবে বন্ধুত্বটা আজকের নয়। তাই, এই দুরত্ব কোনোদিন সৌরকে অনুর অভিমানদের পড়ে ফেলা থেকে আটকাতে পারেনি।
বিয়ের একবছর পরই যখন কোম্পানির কাজে সৌরকে যখন নটিংহাম চলে যেতে হয়, অনু তাই অভিযোগ করেনি কোনো।
আজকাল ওদের ডেট হয় ল্যাপটপে কফিকাপ হাতে মুখোমুখি বসে,
অনু যখন পাঁচতলার ব্যালকনিতে নিজের হাতে বসানো nightqueen গাছটার প্রথম ফুলটা সৌরকে দেখাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, সৌরর চোখ তখন অনুর হাসিমুখটাকে বন্দী করে নেয় নিজের মনের মধ্যে।
দুরত্ব প্রেমটাকেও ওরা নিজেদের সবটুকু দিয়ে অনুভব করত, তাই মনখারাপদের ভালোবাসারা আগলে রাখত।
কিন্তু, সেদিনের পর এই সহজ সমীকরণটা কেমন বদলে গেল…
ক্রমশ…