LaughaLaughi

You Create, We Nurture

English Movies

কার্টুন- সিনেমা

ছোটোবেলায় সবথেকে মজার বিষয় ছিল কার্টুন দেখা। স্কুল ছুটি হোক কিংবা পড়াতে অল্পস্বল্প ফাঁকি কার্টুন দেখে না এমন বাচ্চার সংখ্যা নেই বললেই চলে। খেতে বসে বায়না থেকে শুরু করে মার কাছে বকাবকি- সব বিরতি ঐ কার্টুনে।

সেই ছোট্টবেলার অভ্যেস কি বড়বেলাতে চলে যেতে আছে? মোটেই না। যত যাই হোক মনের ভেতর সেই ছোট্ট ‘আমি’ এখনো আমাদের মধ্যে বেঁচে আছে। তাই হাতে পায়ে বড় হয়েও কার্টুন দেখতে অনেকেই ভালোবাসি আমরা। যদিও ছোটোবেলার সেই ‘টম অ্যান্ড জেরি’ কিংবা ‘অসওয়াল্ড্র’ এখন আর নেই, তাতে কি! ডিজনি বা ওর মতো অনেক কম্পানি এরকম কার্টুন জাতীয় কমার্শিয়াল বা সিনেমা বানায়। সেগুলো দেখলেও ছোটবেলার সেই স্মৃতিগুলো আত্মসাৎ করা যায়।

এরকমই একটি সিনেমা হল- ‘দ্য বস বেবি’। সিনেমার ট্রেইলারটা যদিও আমার ফেসবুক এ দেখা; তবু বলতে গেলে সেই দৃশ্যেই মন কেড়ে নেওয়ার মতো বিষয় ছিল। একটা ছোটো বাচ্চা কম্পানির বস! ভাবলেই হাস্যকর মনে হয়। আর দশটা বাচ্চা থেকে একদম আলাদা। কেমনই না! কার্টুন বলেই হয়তো সম্ভব। এমন কত কিই না দেখায় ওরা যা বাস্তব জীবনে অসম্ভব। কিন্তু সবেরই একটা কারণ বা নীতিকথা থাকে, তাই এগুলোরও আছেই।

এই সিনেমা ২০১৭ সালে রিলিজ হয়েছিল। এটি ফ্যামিলি কমেডি মুভি। চরিত্র বলতে টিম ও তার ফ্যামিলি আর ওর ভাই অর্থাৎ দ্য বস বেবি। ছোটো ভাইয়ের প্রত্যাবর্তনে টিম ভীষণ হিংসে করছে, যে তাদের মা বাবার সমস্ত ভালোবাসা বা সময় সব ভাগ হয়ে যাবে। আর পরবর্তীতে সে যখন জানতে পারে তার ভাই বড়দের মতো কথা বলতে পারে আবার একটা কম্পানির বস স্বাভাবিকভাবেই সে সেই সত্য বাড়িতে জানানোর চেষ্টা চালাতে থাকে। যাতে তার ভাইকে তার বাড়ির লোক বের করে দেয়। শিশুসুলভ হিংসে ও পরবর্তীতে সেই ভাইকেই সে কতটা ভালোবেসে ফেলে তাই নিয়েই গল্প। বস বেবির কণ্ঠে অ্যাল্ক ব্যাডউইন, টিমের কণ্ঠে টোবে ম্যাগুর।

এই সিনেমা মারলা ফ্রেজের ‘দ্য বস বেবি’ থেকে সংগৃহীত। সিনেমা প্রডিউস করেছে ড্রিম ওয়ার্কস অ্যানিমেশন। আদ্যপ্রান্ত ছোটোদের এই সিনেমা কার্টুন প্রিয় প্রত্যেকটা মানুষের ভালোলাগবেই। এরকম সিনেমা ছোটোবেলার সেই ছেলেভোলানো দিনে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেই- এটুকু গ্যারান্টি দেওয়া যাবেই।

Facebook Comments Box

LEAVE A RESPONSE

Your email address will not be published. Required fields are marked *

লেখালেখির সাথে যুক্ত হতে হতে কখন যে সেটা জীবনের অংশ হয়ে গেছে আর বোঝা হয়ে ওঠেনি। প্রতিদিনের জীবনের অংশ লেখালেখি।